মাকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে এইচএসসি পরীক্ষা দিতে পারলেন না শিক্ষার্থী
স্ট্রোক করা অসুস্থ মাকে নিয়ে হাসপাতালে যাওয়ায় কেন্দ্রে ঢুকতে পারেননি; সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ ও বিশেষ পরীক্ষার দাবি
আজ বৃহস্পতিবার দেশজুড়ে এইচএসসি ও সমমানের প্রথম দিনের পরীক্ষা শেষ হলেও, রাজধানীর সরকারি মিরপুর বাঙলা কলেজ কেন্দ্রের এক নারী শিক্ষার্থীর পরীক্ষা দিতে না পারার ঘটনা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। অসুস্থ মাকে হাসপাতালে ভর্তি করাতে গিয়ে কেন্দ্রে পৌঁছাতে দেরি হওয়ায় তাকে পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হয়নি, যা নিয়ে নেটিজেনরা ক্ষোভ প্রকাশ করছেন এবং বিশেষ ব্যবস্থায় পুনরায় পরীক্ষা নেওয়ার দাবি তুলেছেন।
সকাল ১০টায় সারা দেশে একযোগে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়। এবার ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড ও বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে নিয়মিত-অনিয়মিত মিলিয়ে মোট ১২ লাখ ৫১ হাজার ১১১ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিচ্ছেন।
মর্মান্তিক ঘটনা ও কারণ:
জানা গেছে, এইচএসসি পরীক্ষার্থী ওই মেয়েটির বাবা বেঁচে নেই। আজ সকালে তার মা মেজর স্ট্রোক করেন। পরিবারের অন্য কোনো দায়িত্বশীল সদস্য না থাকায়, মেয়েটিকেই সব সামলে অসুস্থ মাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়। হাসপাতাল থেকে মাকে ভর্তি করিয়ে সে ছুটতে থাকে পরীক্ষার কেন্দ্র মিরপুর সরকারি বাঙলা কলেজে।
পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছাতে দেরি হওয়ায় তাকে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। ফলে তিনি প্রথম দিনের এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেননি। কেন্দ্রের সামনে তাকে কাঁদতে দেখা যায়, কিন্তু তবুও তাকে ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি।
সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিক্রিয়া ও দাবি:
এই হৃদয়বিদারক ঘটনা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই ব্যাপক সমালোচনার ঝড় উঠেছে। অসংখ্য নেটিজেন এই শিক্ষার্থীর প্রতি সহানুভূতি জানিয়েছেন এবং কর্তৃপক্ষের কঠোর সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন। অনেকেই ফেসবুক পোস্টে ওই শিক্ষার্থীকে বিশেষ ব্যবস্থাপনায় পুনরায় পরীক্ষা নেওয়ার দাবি তুলেছেন। তাদের যুক্তি, মেয়েটি স্বেচ্ছায় দেরি করেনি, বরং অসুস্থ মায়ের জীবন রক্ষার্থে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছিল। এই মানবিক দিকটি বিবেচনায় নিয়ে তার প্রতি নমনীয় হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছেন তারা।