ঢাবি শিক্ষার্থী সাম্য হত্যাকাণ্ড: তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যাকাণ্ড তদন্তে গঠিত কমিটির সাম্য হত্যা তদন্ত প্রতিবেদন উপাচার্যের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যাকাণ্ড তদন্তে গঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্ত কমিটি তাদের প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। এই প্রতিবেদন উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খানের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে, যা এই চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ডের বিচার প্রক্রিয়ায় এক ধাপ অগ্রগতি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
তদন্ত কমিটি ও প্রতিবেদন জমা
সোমবার সকালে উপাচার্য ভবনে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খানের কাছে তদন্ত প্রতিবেদনটি হস্তান্তর করেন কমিটির আহ্বায়ক এবং কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খান। এ সময় অন্যদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ এবং কমিটির সদস্য সচিব সহকারী প্রক্টর শারমীন কবির উপস্থিত ছিলেন। এই তদন্ত কমিটি যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে তাদের প্রতিবেদন তৈরি করেছে বলে তদন্ত সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। তাদের এই পদক্ষেপ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
প্রতিবেদনের পরবর্তী পদক্ষেপ
তদন্ত প্রতিবেদনের পরবর্তী ধাপসমূহ:
- পর্যালোচনা: উপাচার্য কর্তৃক তদন্ত প্রতিবেদনটি বিস্তারিত পর্যালোচনা করা হবে।
- নিয়ম অনুসরণ: বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
- লক্ষ্য: দোষীদের চিহ্নিতকরণ এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা।
তদন্ত সংশ্লিষ্টরা জানান, জমা দেওয়া এই প্রতিবেদনটি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পর্যালোচনা করা হবে। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। এই প্রক্রিয়ায় দোষীদের চিহ্নিতকরণ এবং তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করাই মূল লক্ষ্য। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মকানুন মেনে দ্রুত এবং স্বচ্ছভাবে এই প্রক্রিয়ার সম্পন্ন হবে বলে আশা করা হচ্ছে, যাতে নিহত শিক্ষার্থীর পরিবার ও সহপাঠীরা ন্যায়বিচার পান।
সাম্য হত্যাকাণ্ড: প্রেক্ষাপট ও কমিটি গঠন
উল্লেখ্য, গত ১৩ মে দিবাগত রাতে দুর্বৃত্তদের আক্রমণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আলম সাম্য মর্মান্তিকভাবে নিহত হন। এই ঘটনা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এবং সারা দেশে ব্যাপক চাঞ্চল্য ও ক্ষোভের সৃষ্টি করেছিল। ঘটনার পরপরই উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান এই হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্তের জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নেন। তিনি কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খানকে আহ্বায়ক করে ৭ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। পরে এই কমিটির তদন্ত কার্যক্রমকে আরও শক্তিশালী করার জন্য ব্যারিস্টার নুরুল আজিমকে কমিটিতে কো-অপট (co-opt) করা হয়। এই কমিটি অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে তাদের তদন্ত কাজ শেষ করে প্রতিবেদন জমা দিল।