এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য জরুরি নির্দেশনা: ডেঙ্গু ও করোনা প্রতিরোধে ৬ দফা পরামর্শ
আর মাত্র ১০ দিন পর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু। এই সময়ে করোনা ও ডেঙ্গু সংক্রমণ রোধে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।
চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা আগামী ২৬ জুন থেকে শুরু হতে যাচ্ছে। পরীক্ষার ঠিক আগ মুহূর্তে করোনাভাইরাসের নতুন ধরনের সংক্রমণ এবং ডেঙ্গু প্রতিরোধে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য ৬ দফা নির্দেশনা জারি করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। একই সঙ্গে সচেতনতা বৃদ্ধিতে সকল শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের প্রচারাভিযানে যুক্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
“সারা দেশে করোনাভাইরাসের নতুন সাব-ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ এবং ডেঙ্গুসহ মশাবাহিত অন্যান্য রোগ প্রতিরোধের লক্ষ্যে সুপারিশ প্রদানের জন্য ‘ডেঙ্গু সচেতনতা : ভবিষ্যতে করণীয়’ সংক্রান্ত সভার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সূত্রোক্ত পত্র ২টি এতদসঙ্গে প্রেরণ করা হলো।”
সোমবার (১৬ জুন) ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ আন্ত শিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি প্রফেসর ড. খন্দোকার এহসানুল কবির স্বাক্ষরিত এক জরুরি স্মারকে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়। দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্টদের ইতোমধ্যে এটি পাঠানো হয়েছে।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, সারা দেশে করোনাভাইরাসের নতুন সাব-ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ এবং ডেঙ্গুসহ মশাবাহিত অন্যান্য রোগ প্রতিরোধের লক্ষ্যে সুপারিশ প্রদানের জন্য ‘ডেঙ্গু সচেতনতা: ভবিষ্যতে করণীয়’ সংক্রান্ত সভার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পত্রদ্বয়ের নির্দেশনাগুলো মাউশির আওতাধীন সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রতিপালনের অনুরোধ করা হয়েছে।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে নির্দেশনা:
- সারা দেশে ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য প্রচারণাকাজে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্ত করতে হবে।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে নির্দেশনা:
- বারবার প্রয়োজনমতো সাবান দিয়ে হাত ধোয়া (অন্তত ২০ সেকেন্ড)।
- জনসমাগম এড়িয়ে চলা এবং বাইরে বের হলে মুখে মাস্ক পরা।
- আক্রান্ত ব্যক্তি থেকে কমপক্ষে ৩ ফুট দূরত্ব বজায় রাখা।
- অপরিষ্কার হাতে চোখ, নাক ও মুখ স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকা।
- হাঁচি-কাশির সময় বাহু অথবা টিস্যু বা কাপড় দিয়ে নাক-মুখ ঢেকে রাখা।
এদিকে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সর্বশেষ করোনাবিষয়ক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নতুন করে ২৬ জন আক্রান্ত হওয়ায় মোট রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৫১ হাজার ৮৩৩ জনে। দেশে এ পর্যন্ত করোনায় ২৯ হাজার ৫০৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৪ জন সুস্থ হওয়ায় মোট সুস্থ রোগীর সংখ্যা ২০ লাখ ১৯ হাজার ৪১০ জন। মহামারির শুরু থেকে এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ০৫ শতাংশ এবং গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ৮ দশমিক ৯৩ শতাংশ।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম ৩ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয় এবং ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যু ঘটে। ২০২১ সালের ৫ ও ১০ আগস্ট দুই দিন করোনায় সর্বাধিক ২৬৪ জন করে মারা যান।