স্বাধীনতার ৫২ বছরেও সংরক্ষর করা হয়নি মুক্তিযুদ্ধে ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জের শহিদ বুদ্ধিজীবী ডা: সুজাউদ্দীন আহমেদের সমাধি। অবহেলা আর অযত্নে মাটির সাথে বিলিন হয়ে গেছে তাঁর সমাধি। এ নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে শহিদ পরিবারের সদস্যদের মাঝে। ৭১’র ১৭ এপ্রিল পীরগঞ্জে প্রথম পাকিস্তানী হানাদার বাহিনি আক্রমন চালায়। এদিন খান সেনারা স্থানীয় রাজাকারদের সহায়তায় পীরগঞ্জে এসে তৎকালীন থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি শহিদ বুদ্ধিজীবী ডা: সুজাউদ্দীন, অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা সহ ৭ জনকে ধরে নিয়ে গিয়ে ভাতারমারি ফার্মে নির্মম ভাবে হত্যা করে। এরপর প্রায় চলে হতাকান্ড।
সে সময় শহরের জগথা রাইস মিল এলাকা, বেগুনগা, সতীপুকুর, সাব-রেজিষ্ট্রি আফিস সংলগ্ন, দেশিয়াপাড়া সহ অন্তত অর্ধশত স্থানে অসংখ্য মানুষকে হত্যা করে গন কবর দেওয়া হয়। শহিদ বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে শহিদ বুদ্ধিজীবী অধ্যাপক গোলাম মোস্তফার সমাধি রাষ্টের ভাবে সংরক্ষন করা হয়েছে। স্থানীয় উদ্যোগে সাব রেজিষ্ট্রি অফিস সংলগ্ন গন কবর সংরক্ষনের কাজ চলমান রয়েছে কিন্তু শহিদ বুদ্ধিজীবী ডা: সুজাউদ্ধানের সমাধি অবহেলা আর আয়ত্বে পরে রয়েছে উপজেলা বীরহলী গ্রামে।
তাঁর সমাধির কোন চিহৃ নেই। মাটির সাথে মিশে গেছে। এটির বিষয়ে তেমন কারো নজর নেই। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তার ছেলে পীরগঞ্জ সরকারী কলেজের সহযোগী অধ্যাপক বদরুল হুদা। তিনি বলেন, দেশের জন্য জীবন দিয়েছেন তার বাবা। তিনি এ অঞ্চলের মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ছিলেন। তার ডাক্তার খানা ঘিড়েই আওয়ামীলীগ ও মুক্তিযুদ্ধের কর্মকান্ড পরিচালিত হত। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের আওয়ামীলীগ সরকার দীর্ঘদিন ক্ষমতায়।
অথচ এখনো তার বাবার সমাধি সরকারী ভাবে সংরক্ষনের কোন উদ্যোগ নেই। পীরগঞ্জ প্রেসক্লাবেনর সভাপতি জয়নাল আবেদিন বাবুল বলেন, শহিদ বুদ্ধিজীবী ডা: সুজাউদ্দীন আহমেদের সমাধি সহ এ উপজেলায় অসংখ্য গন কবর ও বদ্ধভুমি রয়েছে।
নতুন প্রজম্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সানিত করতে শহিদ ডা: সুজাউদ্দীনের সমাধি সহ গনকবর ও বদ্ধভুমিগুলি সংরক্ষন করা জরুরী।উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহরিয়ার নজির বলেন, শহিদ বুদ্ধিজীবী ডা: সুজাউদ্দীন আহমেদের সমাধি সহ উপজেলার গনকবর ও বদ্ধভুমিগুলি চিহিৃত করার পাশাপাশি সংরক্ষেনের উদ্য্গে নেয়া হবে।