ঠাকুরগাঁও

ঠাকুরগাঁও জেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটারদের অভিমতসদস্য পদে গিয়াসের বিকল্প নাই

আসন্ন ঠাকুরগাঁও জেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পীরগঞ্জে ভোটের মাঠে মড়িয়া হয়ে উঠেছেন প্রার্থীরা। যে যার মত করে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রার্থী নিয়ে আলোচনা সমালোচনার ঝড় বইছে উপজেলা জুড়ে। তবে সদস্য পদে ৭ জন

প্রার্থীর মধ্যে দুই জনের নাম বেশি শোনা যাচ্ছে। এদের একজন হলেন মিষ্ঠিভাষী, সদালাপী, সদা হাস্যজ্জল ও সকলের ভাজন তরুণ ব্যক্তিত্ব উপজেলার জাবরহাট এলাকার বাসিন্দা ও জাবরহাট হেমচন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের ৪ বারের নির্বাচিত সভাপতি মোঃ গিয়াস উদ্দিন। বৈদ্যুতিক পাখা মার্কা নিয়ে ভোট করছেন তিনি।

অপর জন উপজেলার সেনগাও ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোস্তাফিজার রহমান। হাতি মার্কা নিয়ে প্রার্থী হয়েছেন তিনি। এদের মধ্য থেকেই একজন বিজয়ের হাসি হাসবেন বলে ভোটার, সমর্থক ও রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে।

শেষ মুহুর্তে জনপ্রতিনিধি ভোটারদের আকৃষ্ট করতে এ দুই প্রার্থী চালাচ্ছেন নানা রকম প্রচারণা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও চলছে ব্যাপক প্রচার প্রচারণা। ভোটারদের সাথে কথা বলে জানা গেছে,সাধারণ নির্বাচনের মতো জেলা পরিষদের ভোট নয়-এখানে ভোটাররা সকলেই জনপ্রতিনিধি। সে কারণে গতানুগাতিক নির্বাচন থেকে এটি একটি আলাদা নির্বাচন। প্রার্থীদের সম্পর্কে চুলচেরা বিশ্লেষন করছেন তারা। সেক্ষেত্রে কার মাধ্যমে এলাকার বেশী উন্নয়ন হবে এবং কে সরকারের উচ্চ দপ্তর থেকে এলাকার জন্য বেশি বরাদ্দ আনতে পারবেন সেটির উপর গুরুত্ব দিচ্ছেন ভোটাররা। এছাড়াও বিপদ-আপদে যাকে পাবেন এবং যার মাধ্যমে বিপদ থেকে উদ্ধার পাবার পথ সুগম হবে তার কথাই ভাবছেনজনপ্রতিনিধিরা। বিগত সময়ে কোন প্রার্থী এলাকার জন্য কি আবদান রেখেছেন এবং উন্নয়নের নামে সরকারী বরাদ্দের কি হাল করেছেন তাও বিবেচনায় রাখছেন তারা। সে ক্ষেত্রে গিয়াস উদ্দীনের বিকল্প নেই বলে মত অনেকের। এদিকে মোস্তাফিজার রহমান ইউপি চেয়ারম্যান থাকা কালীন সময়ে তার বিভিন্ন ভুল ত্রæটিও গিয়াসের জন্য সহায়ক ভুমিকা পালন করছে। তবে মোস্তাফিজার বলেছেন, সে সবের প্রভাব এ নির্বাচনে পড়বে না।সদস্য প্রার্থী গিয়াস উদ্দীন বলেন, তিনি জেলা যুব লীগের সদস্য এবং সকারের উচ্চ মহলের সাথে তার ঘনিষ্ট যোগাযোগ রয়েছে। সেজন্য এলাকার উন্নয়নে তিনি বাড়তি আবদান রাখতে পারবেন। তাছাড়া উপজেলা সকল রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের সাথে সু সম্পর্ক রয়েছে তার। তারা সবাই নিজেরাই স্বউদ্যোগে তার জন্য ভোট করছেন। এলাকার পাশাপাশি রাজধানী ঢাকাতেও তিনি বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন বিষয়ে এলাকার মানুষের কাজে এগিয়ে এসেছেন। অনেকের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছেন। আগামীতেও এধারা অব্যাহত রাখবেন। সে জন্য ভোটের মাঠে ব্যাপক সাড়া পাচ্ছেন। আশা করছেন বিপুল ভোটের ব্যবধানে ভোটাররা তাকে জয়ী করবেন। অন্য দিকে মোস্তাফিজার বলছেন, এলাকার উন্নয়নে তিনিও কাজ করার লক্ষে ভোট করছেন। তিনিও জয়ে আশাবাদী। বিগত সময়ে চেয়ারম্যান থাকাকালে তার কিছু ভুল ত্রæটি থাকা অস্বাভাবিক নয়। তবে এটা এখানে প্রভাব পড়বে না। অন্য সদস্য প্রার্থীরাও যে যার মত করে ভোট করছেন। তবে তারা তেমন আলোনায় নেই। উল্লেখ্য, আগামী ১৭ অক্টোবর ঠাকুরগাঁও জেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হবে।

Author

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments

সম্পর্কিত সংবাদ

Back to top button
0
Would love your thoughts, please comment.x
()
x

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker