পরকিয়া প্রেমে বাধা দেওয়ায় ঠাকুরগাওয়ের পীরগঞ্জে ভগ্নিপতির লাঠির আঘাতে বড় শ্যালকের মৃত্যু হয়েছে। রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার ভোর রাতে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় থানায় ৬ জনের নামে এজাহার দায়ের করা হয়েছে। নিহত মকলেসুরের বাড়ি উপজেলার সেনগাও ইউনিয়নের দেওধা গ্রামে।
এজাহার সুত্রে জানা যায়, উপজেলার দেওধা গ্রামের আব্দুল বাসেদের মেয়ে সুফিয়া বেগমের সাথে প্রায় ২০ বছর আগে একই ইউনিয়নের দেহানগর গ্রামের মৃত কশিমউদ্দীনের ছেলে মমতাজ আলীর বিয়ে। বিয়ের পর থেকেই সুফিয়াকে অকারণে নির্যাতন করে আসছিল মমতাজ। এর নিয়ে একাধিকবার সলিশ বৈঠকও হয়।
এরই মধ্যে পাশ্ববর্তী রানীশংকৈল উপজেলার মুনিষগাঁও গ্রামের এক নারীর সাথে পরকিয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়ে মমতাজ। এতে বাধা দিলে সুফিয়াকে মারপিটসহ নানাভাবে নির্যাতন করে তার স্বামী। খবর পেয়ে গত ৩ মেদুপুরে ভগ্নিপতি মমতাজের বাড়িতে খোজ খবর নিতে যায় সুফিয়ার তিন ভাই মকলেসুর, খায়রুল বাসার ও আবুল কালাম। সেখানে এ নিয়ে কথা বলতে গেলে মমতাজ ও তার বাড়ির লোকজন ঐ তিন ভাইয়ের উপর ক্ষিপ্ত হয়। এক পর্যায়ে মমতাজ বাঁশের লাঠিদিয়ে স্ত্রীর বড় ভাই মকলেসুরের মাথায় আঘাত করে। এতে মকলেসুর মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। তাকে উদ্ধার করে পীরগঞ্জ হাসপাতালে নেওয়া হয়।
অবস্থা গুরুতর হওয়ায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে দিনাজপুরে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। সেখানেও তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার ভোর রাত ৩ টার দিকে মকলেসুরের মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় নিহতের ভাই খায়রুল বাসার বাদী হয়ে পীরগঞ্জ থানায় মমতাজসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে এজাহার দায়ের করেছেন।
পীরগঞ্জ থানার ওসি জাহাঙ্গীর আলম শনিবার বিকাল ৪ টার দিকে বলেন, এজাহার পাওয়া গেছে। মামলা রুজুর বিষয়টি প্রত্রিয়াধীন রয়েছে। আসামীদের গ্রেফতারেরও চেষ্টা চলছে।