ঠাকুরগাঁও

গৃহবধূকে অপহরণ করে গণধর্ষণের অভিযোগ

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার শুকানপুকুরীর গ্রাম্য পুলিশসহ ৩ জন মিলে এক গৃহবধূকে অপহরণ করে গণধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া যায়।

গত বৃহস্পতিবার রাতে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার শুখানপুকুরী ইউনিয়নের ৭ ওয়ার্ডের গবিন এর ছেলে প্রদিপ নামে গ্রাম্য পুলিশ, টংক রাম এর ছেলে যাপু, শচীনদর ছেলে অলেশ বাংরোড শুকানপুকুরীর বাসিন্দাদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করেন গৃহবধূ।

বীরগঞ্জ উপজেলা পলাশবাড়ী ইউনিয়নের স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ১৭ই মার্চ গৃহবধূকে তুলে নিয়ে যায়, এবং তারা দুই রাত আটকে ঐ গৃহবধূকে গণধর্ষণ এবং অমানবিক নির্যাতন করে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ভুল্লি বাজারে ফেলে যায়।

পরে গৃহবধূর সাথে কথা বললে তিনি বলেন, ‘আমাকে জোর করে তুলে যায়,, আর বলে আমি যদি বেশি বাড়াবাড়ি করি তাহলে আমাকে মেরে ফেলবে ও আমার নামে পেপার পত্রিকা করে দিবে, যাতে করে আমার স্বামী ছেড়ে দেয়, এমনকি আমাকে ভয়ভীতি দেখায় এতে আমি বাধ্য হয়ে মুখ বন্ধ করে রাখি। তখন আমার বাসায় কেউ ছিলোনা এই সুযোগে আমার বাসায় গরু বিক্রি করার ৫৫ হাজার টাকা আর কিছু গয়না ছিলো যা নিয়ে যায়।’

আমাকে তুলে নিয়ে গিয়ে শাহীদা নামে এক মহিলার বাসায় যায় এবং আমার কাছ থেকে জোর করে কাগজে সই নিয়ে নেয়।

পরে তারা তিনজন আমাকে ধর্ষণ ও অমানবিক নির্যাতন করে আমার কিছু অশ্লীল কিছু ছবি তুলে নেয়।

এরপর ১৮ই মার্চ শশুরকে প্রদিপ ফোন করে বলে আপনার বউমাকে ভুল্লি বাজারে পাবেন। পরে ওই গৃহবধূকে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ভুল্লি বাজার থেকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে বাসায় নিয়ে আসে বলে জানান শশুর কল্যাণ রায়।

পরে প্রদিপ গ্রাম পুলিশের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, যাপু আমাকে বলছে তার নাকি ওই মহিলার সাথে সম্পর্ক আছে, একটু সাহায্য করতে হবে।

তাই যাপুকে তুলে আনতে সাহায্যে করি, কিন্তু আমি কোনো খারাপ আচারণ করিনি।

পরে অলেশ এর সাথে মোবাইলে কথা বললে তিনি বলেন অনেক আগে আমার সাথে প্রেমের সম্পর্ক ছিলো মহিলার, পরে যাপু যে কিভাবে নাম্বার পেলো নাকি আমার কাছ থেকেই নিলো নাকি বলতে পারছিনা,তবে গণধর্ষণের বিষয় আমি কিছু জানিনা। যাপুর সাথে যোগাযোগ করা যায়নি।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর শশুর বলেন আমার বউমার সাথে অনেক খারাপ আচার-আচরণ করছে, আমরা সমাজে মুখ দেখাতে পারছিনা আমি এর সঠিক বিচার চাই।

এইবিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য মনির এর সাথে কথা বললে তিনি বলেন আমি শুনেছি তাদেরকে আইনের আশ্রয় নিতে বলছি।

পরে পলাশবাড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মানিক এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন শুনছি আইনের আশ্রয় নিতে বলছি। ,যাতে করে সঠিক বিচার হয় এই নরপশুদের।

পরে গৃহবধূর স্বামীর সাথে মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা মামলার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি আগে আমার বউ সুস্থ হোক।

Author

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments

সম্পর্কিত সংবাদ

Back to top button
0
Would love your thoughts, please comment.x
()
x

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker