ঠাকুরগাওয়ের পীরগঞ্জের ৩ যুবকের বিরুদ্ধে তথ্য প্রযুক্তি আইনে মামলা করায় এক শিক্ষক ও তার পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। রবিবার দুপুরে পীরগঞ্জ প্রেসক্লাব সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন আভিযোগ করেন উপজেলা স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের সভাপতি শাহ আলম।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মামলার বাদি শাহ আলম জানান, তিনি পীরগঞ্জ উপজেলা স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের সভাপতি ও উপজেলা আওয়ামীলীগের দুই বারের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এবং রানীশংকৈল ডিগ্রী কলেজের সহকারী অধ্যাপক। রাজনৈতিক ও পেশাগত পরিচিতি ছাড়াও পীরগঞ্জের প্রথম শহিত আবু ইসাহাকের ভাগিনাও তিনি। সমাজে তার যথেষ্ট সুনাম রয়েছে। তাকে এবং তার পিতাকে কটুক্তি করে গত বছরের ২৯ ও ৩০ নভেম্বর পাপ্পু, হাবিব এবং রনি নামে ৩ যুবক তাদের নিজ নিজ ফেসবুক আইডি হতে অপমান জনক ও মানহানিকর বাজে মন্তব্য করে পোষ্ট দেয়। এতে তিনি সামাজিক, রাজনৈতিক, পারিবারিক ভাবে হেয়
প্রতিপন্ন হয়েছেন ও মানষিক ভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন। এর বিচার চেয়ে গত ২ জানুয়ারী রংপুর সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতে ঐ তিন যুবকের বিরুদ্ধে তথ্য প্রযুক্তি আইনে মামলা করেছেন তিনি। আদালত মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পীরগঞ্জ থানা পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার বিষয়টি জানতে পেরে প্রতিপক্ষরা এখন তাকে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য নানা ভাবে হুমকি ধামকি দিচ্ছে। মামলা তুলে না নিলে তাকে ও তার পরিবারের লোকজনকে হত্যা করার ভয় দেখানো হচ্ছে বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন শাহ আলম।
তিনি জানান, মিথ্যা মামলা দিয়ে তাকে ও তার পরিবারকে নাজেহাল করার চেষ্টাও করা হচ্ছে। এ ঘটনার তদন্ত সাপেক্ষে সুষ্ঠ বিচার দাবি করেন।
বিষয়টি অস্বীকার করে মামলার প্রতিপক্ষ হাবিব বলেন, তারা কাউকে কোন প্রকার হুমকি ধামকি দেননি বা মামলা তুলেও নিতে বলেননি। এ বিষয়ে পীরগঞ্জ থানার ওসি জাহাঙ্গীর আলম বলেন, মামলাটি তদন্তাধীন রয়েছে। বাদিকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ এখনো পাইনি।