ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ১১ নং মোহাম্মদপুর ইউনিয়ন এর ২ নং ওয়ার্ড এর হরিনারায়ণপুর আদর্শ পাড়ায় এই ঘটনা ঘটে। স্থানীয় প্রতিবেশীরা জানান যে, সিরাজুল ইসলাম একজন দূর্দান্ত প্রকৃতির আইন অমান্যকারী ব্যক্তি। সে নিজের গায়ের জোরে চলাচলের রাস্তার মাঝখানে বাথ-রুমের রিং স্লাপ বসিয়েছে। যা আমাদের জন্য অনেক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা অভিযান বেওয়া বলেন, আমার বসত বাড়ির চলাচলের রাস্তার উপর রিং স্লাপ পুঁতার সময় আমি বাধা দিতে গেলে আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে বিভিন্ন প্রকার হুমকি দিতে থাকে। এমন কি যদি কেহ বাধা প্রধান করিতে চেষ্টা করে তাহলে তাকে প্রানে মারিয়া ফেলার হুমকি দেয়।তিনি আরো বলেন এই রাস্তা আমার নিজস্ব ক্রয় করা জমির উপর।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এই রাস্তার উপর দিয়ে প্রায় ১৫ থেকে ২০ টি পরিবারের লোকজন যাতায়াত করে। রাস্তায় রিং স্লাপ বসানোর ফলে চলাচলের মারাত্মক ক্ষতি সাধিত হয়েছে যার ফলে অনেক বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে।
এই বিষয়ে সিরাজুল ইসলাম এর সাথে কথা বললে তিনি জানান, “আমি ইচ্ছা করেই বসিয়েছি। তারা যখন এর আগে রাস্তায় রিং স্লাপ বসিয়েছে তখন তো আমি কোন অভিযোগ করিনাই, আর এখন আমি বসানোর ফলে কি এমন হয়ে গেছে যে ক্ষতি হয়ে যাবে! যদি সরাতে হয়, তাহলে তাদের টা আগে সরালে আমারটাও সরিয়ে নিবো। তা নাহলে কি করবে করতে বলিয়েন।”
এই বিষয়ে ইউপি সদস্য মুকুল বলেন, এই সিরাজুল ভালো মানুষ না এবং কারো কথা শুনে না। এর আগেও এই রাস্তার মাঝখানে গাছ লাগিয়ে রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছিলো। যা পরে প্রতিবেশীরা রাস্তার জমি কিনে নেয়। যার ফলে আমি আইনের আশ্রয় নিতে বলেছি।
এই বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান সোহাগের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এমন কোনো অভিযোগ আমি পাইনি তবে অভিযোগ পেলে স্থানীয় ভাবে সমাধান করার চেষ্টা করবো।
ঠাকুরগাঁও সদর থানার এস আই আবদুল বলেন , আমার কাছে অভিযোগ আছে যা তদন্ত করে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।