লালমনিরহাট

ঘরের মেজেতে পড়ে কান্না করছে শিশু, বিছানায় পড়ে আছে মায়ের নিথর দেহ

লালমনিরহাট প্রতিনিধি:
লালমনিরহাট সদর উপজেলার গোকুন্ডা ইউনিয়নে শ্বাসরোধ ও নির্যাতন করে মিতু আক্তার নামে এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামী আতিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় স্বামী আতিকুল ইসলামের নামে লালমনিরহাট সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে নিহত গৃহবধূর বাবা।

শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকালে লালমনিরহাট সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ওমর ফারুক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, খবর পাওয়ার পরপরই ঘটনা স্থলে অফিসার পাঠিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। আজ শুক্রবার মরদেহের ময়না তদন্ত সম্পন্ন করে তার পরিবারের নিকট লাশ হস্তান্তর করা হবে।

নিহত মিতু আক্তার কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙ্গা খেতাবখা এলাকার মোহাম্মদ ইসলামের মেয়ে এবং অভিযুক্ত স্বামী আতিকুল ইসলাম লালমনিরহাট সদর উপজেলার গোকুন্ডা ইউনিয়নের দাড়ারপাড় মুন্সিটারী এলাকার মৃত হাবিবুর রহমান ওরফে হবিয়ার ছেলে।

অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, দুই বছর পূর্বে কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাট ঘড়িয়ালডাঙ্গা এলাকা মোহাম্মদ ইসলামের মেয়ে মিতু আক্তারের সাথে লালমনিরহাট সদর উপজেলার গোকুন্ডা ইউনিয়নের দাড়ারপাড় মুন্সিটারী এলাকার মৃত হাবিবুর রহমানের ছেলের বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের সাংসারিক জীবন ভালই চলছিল। তাদের ঘরে ৫ বছরের আতিকা নামে একটি কন্যা সন্তানও আছে।

গত ১৫/২০ দিন হঠাৎ করে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া লাগে। এর পর স্বামী আতিকুল ইসলাম তার সাথে আর সংসার করবেন না বাড়ি থেকে বাহির করে দেয়। পরে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যাক্তি বর্গ আপোষ মিমাংসা করে দিলে তারা আবারও আগের মতোই সংসার করতে থাকে। গত ২০ সেপ্টেম্বর রাতে আবারও তাদের স্বামী স্ত্রীর মধ্যে চেচামেচি ও মারামারির শব্দ শুনতে পায় এলাকাবাসী। কিন্তু ঘরের দড়জা বন্ধ থাকা এলাকাবাসী ভিতরে প্রবেশ করতে পারেননি। এর পরেরদিন বৃহস্পতিবার সকালে শিশু আতিকার দির্ঘক্ষন কান্না শুনতে পেয়ে স্থানীয় লাভলু নামে এক ব্যাক্তিসহ এলাকাবাসী ঘরে প্রবেশ করতেই দেখতে পায় শিশুটি মেজেতে কান্না করছে আর তার মায়ের (মিতু আক্তার) লাশ বিছানায় পড়ে আছে। পরে বিষয়টি দুপুরের দিকে থানা পুলিশকে জানালে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। এ সময় শিশু আতিকাকে তার নানার হেফাজতে দেয়া হয়। ওইদিন রাতেই নিহত গৃহবধূ মিতুর বাবা আতিকুলকে আসামী করে লালমনিরহাট সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

লালমনিরহাট সদর থানায় অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ওমর ফারুক জানান, অভিযোগ পর রাতেই মামলাটি নথিভুক্ত করা হয়েছে। আসামী পলাতক আছে তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।


Discover more from MIssion 90 News

Subscribe to get the latest posts to your email.

সম্পর্কিত সংবাদ

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Back to top button

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker