লালমনিরহাটের বহুল আলোচিত শশুর কর্তৃক পুত্রবধূ ধর্ষণের ঘটনায় শশুরসহ দুই জনকে আটক করেছে আদিতমারী থানা পুলিশ।
মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) বিকেলে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে লালমনিরহাটের পুলিশ সুপার আবিদা সুলতানা, প্রেস ব্রিফিং করে বিষয়টি সাংবাদিকদের জানান।
ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার জানান, “প্রায় দেড় মাস আগে জেলার আদিতমারী থানার উত্তর তালুক পলাশী গ্রামের মকসুদুর রহমানের ছেলে হাবিবুর রহমানের সাথে ভিকটিমের বিয়ে হয়। ঘটনার দিন (গত ২৯ নভেম্বর) সকালের দিকে ভিকটিমের স্বামী অটো বাইক চালক কাজে বের হয়ে গেলে বাড়িতে কেউ না থাকায় অসুস্থ পুত্রবধূকে ঔষধের কথা বলে চেতনা নাশক খাইয়ে, হাত বেধে মুখ চেপে ধরে জোর পুর্বক ধর্ষণ করে ঘর থেকে বেরিয়ে যায়। পরে ভিকটিমের স্বামি বাড়ি এসে স্ত্রীকে নগ্ন অবস্থায় দেখে উদ্ধার করে এবং ঘটনার বিষয় ভিকটিমের কাছে জানতে পারে।”
পরে ঘটনা জানা জানি হলে, অভিযুক্ত মকছুদার রহমান (৫০) এর সহযোগী মাহাতাব উদ্দিনের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম (৩২), মৃত বদিয়ার রহমানের ছেলে মনছুর আলী (৬০), মৃত করিম উদ্দিনের ছেলে আলম মিয়া (৬০) বিষয়টি স্থানীয় ভাবে মিমাংসা করার কথা বলে ভিকটমকে তার বাড়িতেই জোর পূর্বক আটকে রাখে এবং তার বাবা যেন মামলা না করে সেজন্য প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি ও ভয়ভীতি দেখায়।
ঘটনাটি জানতে পেরে লালমনিরহাট পুলিশ সুপার আবিদা সুলতানার নির্দেশে আদিতমারী থানার অফিসার ইনচার্জ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ভিকটমকে ধানের গোলা ঘর থেকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। পরে ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে আদিতমারী থানায় সংশ্লিষ্ট আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।
সোমবার (৬ ডিসেম্বর) রাতভর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে মামলার মুল আসামি শশুর মকসুদুর ও তিন নম্বর আসামি মনছুর আলীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পুলিশ সুপার লিখিত বক্তব্যে আরো বলেন, প্রাথমিক তদন্তে তাদের বিরুদ্ধে ঘটনার সাথে জরিত থাকার সাক্ষ্য প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) বিকেলের দিকে আসামিদের বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হবে।
Discover more from MIssion 90 News
Subscribe to get the latest posts to your email.