পৃথিবীর বিখ্যাত চালকবিহীন হেলিকপ্টার ও বিমানের আবিষ্কারক বীর মুক্তিযোদ্ধা ড: হুমায়ুন কবির এখন কিশোরগঞ্জে।
২০ বছর পর জন্মভূমি কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে এসেছেন এই বিজ্ঞানি যুক্তরাষ্ট্রের বোয়িং কোম্পানিতে ঊর্ধ্বতন বিজ্ঞানী হিসেবে কর্মরত।
শুক্রবার (২৪ মে) সকাল সাড়ে ১০টায় তাকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি উপজেলার চন্ডিপাশা ইউনিয়নের বড় আজলদী গ্রামে অবতারণ করে।
এ সময় তাকে স্বাগত জানাতে পাকুন্দিয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো: রফিকুল ইসলাম রেনু, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সৈনিক আব্দুল মান্নানসহ গ্রামের হাজারো মানুষ।
বীর মুক্তিযোদ্ধা ড: হুমায়ুন কবিরের বাবার বাড়ি কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার বনগ্রাম ইউনিয়নের নাগেরগ্রামে হলেও শৈশব ও কৈশোর কেটেছে জেলার পাকুন্দিয়া উপজেলা চন্ডিপাশা ইউনিয়নের বড় আজলদী গ্রামের নানার বাড়িতে।
জানা যায়- এর আগে বুধবার (২২ মে) স্ত্রী ফরিদা কবিরসহ তিনি বাংলাদেশে আসেন। তিনি ৩১ মে পর্যন্ত কিশোরগঞ্জ জেলা সার্কিট হাউসে থাকবেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধা ড: হুমায়ুন কবির কর্মরত রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ফিলাডেলফিয়ায় অগাস্টা এরোস্পেস কর্পোরেশনে প্রধান প্রকৌশলী হিসাবে। তিনি বিশ্বের প্রথম রিমোট কন্ট্রোল হেলিকপ্টারের উদ্ভাবক।
বিজ্ঞানী হুমায়ুন কবির ১৯৮৬ সালে রিমোট নিয়ন্ত্রিত এইচ-৫ হায়েন্স হেলিকপ্টার আবিষ্কার করেন। ফিলাডেলফিয়ায় অগাস্টা এরোস্পেস কর্পোরেশনে প্রধান প্রকৌশলী হিসাবে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র সরকারের প্রতিরক্ষা প্রকল্পে নানা গুরুত্বপূর্ণ কাজ করছেন।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সৈনিক আব্দুল মান্নান জানান, বিজ্ঞানী হুমায়ুন কবীর সম্পর্কে আমার নাতি হয়। ছোটবেলায় থেকেই সে অসম্ভব মেধাবী ছিল। পড়ালেখার ফাঁকে ফাঁকে সংসার চালানোর জন্য নানার সঙ্গে রাস্তার মোড়ে কেরোসিন বিক্রি করতো। অসম্ভব মেধা এবং কঠোর পরিশ্রমের কারণে আজ তিনি বিশ্ব বিখ্যাত বিজ্ঞানী। তাকে নিয়ে আমরা গর্বিত এবং আনন্দিত।
বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বিজ্ঞানী হুমায়ুন কবির বলেন, দেশের মাটিতে আবারও আসতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত৷ সবাইকে পেয়ে ভালো লাগছে। কিশোরগঞ্জে ৭ দিন অবস্থান করে সবার সঙ্গে মতবিনিময় করবো।