মিঠা পানিতে গলদা চিংড়ি চাষে সাফল্য দেখিয়েছেন কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলা মৎস্য বিভাগ। সাধারণত দেশের সমুদ্র উপকূল ও দক্ষিণাঞ্চলের লোনাপানিতে গলদা চিংড়ির চাষ হয়। মিঠাপানিতে গলদা চিংড়ি চাষ করে প্রচলিত এ ধারণা বদলে দিয়েছে কটিয়াদী উপজেলা মৎস্য বিভাগ। প্রান্তিক পর্যায়ের মৎস্যচাষীদের মাঝে গলদা চিংড়ি চাষ সম্প্রসারণের জন্য সরকারি ভাবে কুমিল্লা থেকে গলদা চিংড়ির জুভেনাইল (চিংড়ির পোনা) সংগ্রহ করে একটি প্রদর্শনী খামারে পরীক্ষা মূলক চাষ করা হয়। প্রদর্শনী পুকুরে কার্প জাতীয় মিশ্র মাছের সাথে গলদা চিংড়ি চাষ করেন উপজেলার মুমুরদিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম চাতল গ্রামের মেহেদী হাসান অমি।
উপজেলা মৎস্য বিভাগের তথ্য মতে, ইউনিয়ন পর্যায়ে মৎস্য চাষ সম্প্রসারণে উপজেলার একটি প্রদর্শনী পুকুরে ৩৭ শতক জমিতে গলদা চিংড়ির জুভেনাইল (চিংড়ির পোনা) কার্প জাতীয় মাছের সঙ্গে মিশ্র পদ্ধতিতে চাষের ব্যবস্থা করা হয়। মৎস্য বিভাগ থেকেই জুভেনাইল পোনা, মাছের খাবার ও মাছ চাষে উপকরণ দেয়া হয় খামারীকে। গলদা চিংড়ির উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা হেক্টর প্রতি পাঁচশত কেজি।
খামার সূত্রে জানা যায়, এখানে গলদা চিংড়ির সাথে মিশ্র কার্পজাতীয় রুই, কাতলা রুই, মৃগেল, সিলভার, পুটি মাছ ও চাষ করা হয়েছে। খামারী মেহেদী হাসান অমি জানান, উপজেলায় প্রথম গলদা চিংড়ি চাষ করতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত। চিংড়ি গুলো ছয় থেকে সাত মাসেই উপযুক্ত সাইজ হয়ে যায়। প্রদর্শনী খামারের ১২-১৪টি চিংড়ি এক কেজির মত ওজন হয়। মাছ ও পুকুরে নমুনায়ন পরীক্ষা করে বিভিন্ন পরামর্শ দিয়েছেন মৎস্য দপ্তরের ক্ষেত্র সহকারী সুমী আক্তার ও মো: তালহা জুবায়ের।
সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মুহাম্মদ দেলোয়ার হোসাইন জানান, প্রাথমিক ভাবে পুকুরটিতে এক হাজার পিছ গলদা চিংড়ির জুভেনাইল অবমুক্ত করা হয়। অত্র অঞ্চলের পানি, মাটি ও আবহাওয়া গলদা চিংড়ি চাষে উপযোগী। দেশীয় মাছ চাষের পাশাপাশি উপজেলা মৎস্য বিভাগ মাছ চাষে আগ্রহ বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ও কর্মশালার ব্যবস্থা করে যাচ্ছি।