কটিয়াদী

কটিয়াদীতে শীতের আগমনে লেপ-তোষক তৈরির ধুম

কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে শীতের আগমনীতে ধুম পরেছে লেপ-তোষক তৈরীর।লেপ তোষকের কারিগররা এখন ব্যস্ত সময় অতিবাহিত করছেন।কিছু দিন পরেই জেঁকে বসবে শীত।এবার কার্তিকের শীতের আমেজ আগেই টের পাওয়ায় জনসাধারণ ভীড় জমাতে শুরু করেছে লেপ তোষকের দোকানে।তুলা, লেপের কাপড় ফোম এবং মজুরী গত বছরের তুলনায় এবার বেশী বলে জানিয়েছে বিক্রেতারা।নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী বাজারের দোকানগুলিতে লেপ তোষকের ভীড় লক্ষনীয়।এসব দোকানে দিন দিন বেড়েই চলছে লেপ-তোষক ক্রেতাদের ভীড়।পাশাপাশি ব্যস্ততা বেড়েছে লেপ-তোষক তৈরী কারিগরদের।কটিয়াদী বাজারের লেপ তোষক তৈরীর প্রতিটি দোকানে এখন ১৫/২০টি লেপ তোষক তৈরী হচ্ছে। এদিকে শীত বস্ত্র বিক্রির দোকানেও ভীড় ও কেনাকাটা জমে উঠতে শুরু করেছে।

কটিয়াদী বাজারের লামিয়া বেডিং স্টোরের সত্বাধিকারী মোঃ মনির হোসেন বলেন,আমি ২০-২৫ বছরধরে লেপ তোষক তৈরী ও বিক্রয় করে আসছি।লেপ তোষক তৈরী করে আজ আমি স্বাবলম্বী হয়েছি।ছেলেমেয়েদের পড়ালেখার খরচ মিটিয়ে সংসারের হাল ধরে আছি এ ব্যবসা থেকেই। ইচ্ছে করলেই এ ব্যবসাকে ছাড় দিতে পারিনি। প্রতিদিন ১৫ থেকে ২০টি লেপ তৈরী হয়ে থাকে। ৪-৫ হাত মাপের তৈরী লেপ ৯০০ থেকে ১৬৫০ পর্যন্ত বিক্রি হয়ে থাকে।

লেপ তোষক তৈরীর কারিগর মোঃ মুছা মিয়া বলেন,আমি দীর্ঘকয়েক বছর যাবত লেপ তোষকের কারিগর হিসেবে কাজ করে আসছি।আমার বাবাও একজন লেপ তোষকের কারিগর ছিলেন।বাবার সুত্র ধরেই আমিও আজও চার দশক ধরে এ পেশার সাথে জড়িত রয়েছি।
আরেক কারিগর জামাল মিয়া বলেন,রাত বারটা পর্যন্তও আমাদের কাজ করতে হয়।একটা সময়ে হাড় কাপুনি শীতেও লেপ তোষকের দোকানে ভীড় লক্ষনীয় ছিলো।আগের তুলনায় এখন অনেক কমে গেছে।তবে শীতের প্রকোপ বাড়ার সাথে সাথেই লেপ তৈরীর ধুম পড়বে বলে জানান।

Author

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments

সম্পর্কিত সংবাদ

এছাড়াও পরীক্ষা করুন
Close
Back to top button
0
Would love your thoughts, please comment.x
()
x

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker