গাজীপুর মহানগরের কোনাবাড়ি বাইমাইল নয়াপাড়া এলাকায় শনিবার মধ্যরাতে নিজ কক্ষ থেকে স্বামী ও স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার করেছে কোনাবাড়ি মেট্রো থানা পুলিশ। স্ত্রীর লাশ ছিলেন বিছানায় আর স্বামীর লাশ ঘরের আড়ার সাথে ঝøলন্ত অবস্থায় ছিলো।
নিহতরা হলেন, একই এলাকার মৃত সোহাগ মিয়ার মেয়ে পারভীন আক্তার (৩২) ও তার স্বামী জালাল মিয়া (৪২) নিহত জালাল শশুর বাড়িতে থেকে ভাঙ্গারীর ব্যবসা করতেন।
নিহতের পরিবার ও পুলিশ সূত্র জানায়, এক বছর আগে জালালের সাথে পারভীনের প্রেমের সম্পর্কে বিয়ে হয়। পারভীনের এটা দ্বিতীয় বিয়ে। আগের ঘরে রাব্বি হোসেন নামের ১৫ বছরের একটি ছেলে রয়েছেন। প্রথম স্বামীর সাথে ডিভোর্স হওয়ার পর জালাল মিয়ার সাথে বিয়ে হয়।
নিহতের ছেলে রাব্বি বলেন, রাত বারোটার দিকে আমার মা আমার কাছে ফোন করে ৫০০ টাকা চায় সকালে দিবো বলে ফোন কেটে দেই। পরে সকালে এসে দেখি মার লাশ বিছানায় আর বাবার লাশ ঘরের আড়ার সাথে ঝুলন্ত লাশ। পরে বিষয়টি পুলিশকে জানাই। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
প্রতিবেশীরা জানান, শনিবার রাত ১২ টার দিকে তাদের ঝগড়া শুনতে পাই এর দেড় ঘন্টা পর ঘরের দরজা খোলা দেখে প্রতিবেশিরা এগিয়ে গিয়ে দেখেন তাদের লাশ। পরে তাদের ছেলে রাব্বাীকে ফোন করে বিষয়টি জানানো হয়।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন কোনাবাড়ী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) তাইম উদ্দিন বলেন, সকাল ৮ টার সময় খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে কোনাবাড়ী থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।