কালিয়াকৈরে প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগের দাবিতে রোববার সকালে উপজেলা পরিষদের সামনে বিক্ষোভ করেছে কালিয়াকৈর গার্লস পাইলট বালিকা বিদ্যারয়ের শিক্ষার্থীরা। এসময় প্রধান শিক্ষক বাবু সুবাস চন্দ্র সরকার ও সহকারী শিক্ষক দিলিপ কুমার সূত্রধর দুইজনের পদত্যাগ এর দাবি করেন।
শিক্ষার্থীরা জানান, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পর নানা অনিয়মের অভিযোগে সুবাস চন্দ্রের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন করে শিক্ষার্থীরা। পরে ওই দিনই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি স্বারক লিপি দেন শিক্ষার্থীরা। এদিকে দেড় মাস অতিবাহিত হওয়ার পড়েও পদত্যাগের সুরাহা না হওয়ায় রোববার সকালে ১০ টার দিকে শিক্ষার্থীরা ফের ক্লাস বন্ধ রেখে বাহিরে অবস্থান করেন।
এসময় ওই স্কুলের সিনিয়র সহকারী শিক্ষক জিন্নাত আলীকে বাহিরে দাড়িয়ে থাকতে দেখে প্রধান শিক্ষক তার গায়ে হাত তুলেন। শিক্ষার্থীরা বিষয়টি স্বচোখে দেখে স্কুলের বাহিরে এসে একটি বিক্ষোভ মিছিল দিয়ে উপজেলা চত্বরে এসে প্রধান ফটকের সামনে বিক্ষোভ করতে থাকে। পরে উপজেলা নির্বাজী কর্মকর্তা কাউছার আহামেদের আশ্বাসে শিক্ষার্থীরা বাসায় ফিরে যায়।
এসময় বক্তব্য রাখেন, ওই স্কুলের দশম শ্রেনীর শিক্ষার্থী জান্নাতুল ফেরদৌসি, ফাতেমা আক্তার, আনিকা তাসিন, জাকিয়া ইসলাম, ও নবম শ্রেনীর শিক্ষার্থী বির্বন সরকার প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, প্রধান শিক্ষক স্কুলের নানা অনিয়মের সাথে জড়িত শিক্ষার মান উন্নয়নে কোন কাজ করেনি। তাছাড়া গত ৭ মাস ধরে আমরা নিয়মিত ক্লাস করতে পারিনি। এ বিষয় গুলো তিনি শিক্ষার্থীদের সাথে বাজে ব্যবহার করেন। তাছাড়া যেহেতু এটা বালিকা বিদ্যালয়, একজন মেয়ে শিক্ষার্থীর ব্যক্তিগত সমস্যা থাকতে পরে। কোন মেয়ে ব্যক্তিগত সমস্যার জন্য ক্লাশ টিচারকে বলে ওয়াসরুমে গেলে সেখানে প্রধান শিক্ষক দার করিয়ে নানা প্রশ্ন করতে থাকেন এবং কি ওই শিক্ষার্থীর পকেটে যে প্যাড থাকে সেটাও চেক করতে চান। তাছাড়া আরেকজন শিক্ষক আছে দিলিপ কুমার সূত্রধর আছেন তিনিও শিক্ষার্থীদের সাথে অনেক বাজে ব্যবহার করেন। আমরা এই দুই শিক্ষকের পদত্যাগের চাই।
শিক্ষার্থীরা আরো বলেন, এর আগে যে আমরা আন্দোলন করেছি এ নিয়েও আমাদেরকে টিসির ভয় দেখিয়েছেনে। তাছাড়া প্রধান শিক্ষকের নিয়োগ পত্র নিয়েও ঝামেলা রয়েছে ।
ওই স্কুলের শিক্ষক জিন্নাত আলী বলেন, আমি সকালে ক্লাশে যাবো এসময় দেখতে পাই দুতলা সিড়ির কাছে শিক্ষার্থীরা নিচে নামতে চাইলে প্রধান শিক্ষক তাদেরকে বাধা দেয় এবং কথা কাটাকাটি করতে থাকে। এদিকে যেহেতেু সিড়ির সামনে সবাই দাড়ানো সেখানে নিচে নামার জন্য অপেক্ষা করতে থাকি হটাৎ সুবাস স্যার আমার উপর চড়াও হয় এবং শিক্ষার্থীদের সামনেই গার ধরে ধাক্কা দিয়ে সিড়িতে ফেলে দেয় আমাকে। পরে বিষয়টি আমি ম্যানেজিং কমিটিকে জানিয়েছি আর এ বিষয়ে কালিয়াকৈর থানায় একটি অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছি।
কালিয়াকৈর গার্লস পাইলট বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বাবু সুবাস চন্দ্র সরকার বলেন আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তা ভিত্তিহীন বানোয়াট ।তাছাড়া জিন্নাত আলীর সাথে আমার কোন কিছুই হয়নি এ অভিযোগ মিথ্যা।
এ বিষয়ে কালিয়াকৈর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাউছার আহামেদ বলেন, বিষয়টি শিক্ষাথীদের কাছে শুনেছি। আমরা তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।