কালিয়াকৈরে হাত পা বেঁধে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকের বাড়িতে ডাকাতি, মালামাল লুট
গাজীপুরের কালিয়াকৈর মধ্যরাতে হাত পা বেঁধে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে মালামাল লুট করেছে ডাকাতরা।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত আনুমানিক সাড়ে তিনটার দিকে উপজেলার মৌচাক কালিয়াদহ গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলামের বাড়িতে এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় শুক্রবার (৯ মে) সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন মৌচাক ফাঁড়ি পুলিশ।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে তিনটার দিকে বাশতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলামের বাড়িতে ১০ থেকে ১২ জন ডাকাত দলের সদস্যরা আইন প্রশাসনের পরিচয় দিয়ে ঘরের দরজা ভেঙ্গে প্রবেশ করে ওই শিক্ষক ও তার স্ত্রী সন্তানদের হাত পা বেধেঁ ফেলে তাদরেকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নগদ ৫০ হাজার টাকা ও তিন ভরি স্বর্ন লুট করে। প্রায় আধা ঘন্টা ধরে তান্ডব চালিয়ে ভাংচুর করে মুল্যবান আসবাবপত্র। আসে পাশের লোকজন টের পেলে কৌশলে পালিয়ে যায় ডাকাতরা। পরে পুলিশকে বিষয়টি জানালে সকালেই ঘটনাস্থল পরির্দশন করেন মৌচাক ফাঁড়ির পুলিশ।
ভুক্তভোগী শহিদুল ইসলাম বলেন, রাতের আনুমানিক সাড়ে তিনটার দিকে ১০ থেকে ১২ জন ডাকাত প্রথমে আমার দুই ছেলের ঘরে লোহার কেচি গেইটের তালা কেটে প্রবেশ করে মুল কক্ষের দরজা ভেঙ্গে আমার দুই ছেলে ও ছেলের বউয়ের হাত পা বেঁধে ফেলে স্বর্ণলঙ্কার লুট করে।আমাদের কক্ষটি বাড়ির উত্তর দিকে হওয়ায় শব্দ শুনে জানালা দিয়ে দেখি ৬ জন লোক বাড়ির উঠোনে দাড়িয়ে আছে। ভেতর থেকে তাদের পরিচয় জিজ্ঞাসা করলে জানান, তারা আইন প্রশাসনের লোক মাটি কাটা নিয়ে কি জামেলা হয়েছে তার জন্য আসছে। পরে তারা আমাদের বাহিরে আসতে বললে বাহিরে যাওয়ার উদ্দেশ্যে দরজা খুলে দিলে ওই ৬ জন লোক ঘরের ভিতর প্রবেশ করে ডাকাত দলের সদস্য পরিচয় দিয়ে আমার এবং আমার স্ত্রীর হাত পা বেঁধে দেশীয় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে পালিয়ে যায়।
মৌচাক ফাড়িঁ পুলিশের ইনর্চাজ সেলিম হোসেন জানান, ডাকাতির ঘটনায় খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরির্দশন করা হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।