গাজীপুরের কালিয়াকৈরে শনিবার (৫ অক্টোবর) সকালে সাব্বির রহমান হত্যাকান্ডের সাথে রাকিব ও সাকিব দুই ভাইকে দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবিতে ফের ঢাকা টাঙ্গাইল মহসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে নিহতের স্বজন ও এলাকাবাসীরা। উপজেলার সফিপুর এলাকায় ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়কের দুই পাশে বেলা সাড়ে এগারোটা থেকে দের ঘন্টা অবরোধ করে রাখে যার ফলে প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজটের সৃষ্টি হলে ভোগান্তিতে পরে পুলিশ অতি দ্রুত আসামীদের গ্রেফতারের আশ্বাস দিলে মহাসড়ক থেকে সরে যায় বিক্ষোভকারীরা। বেলা ১ টার দিকে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
বিক্ষোভকারীরা ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ৯ সেপ্টেম্বর রাত ৮ টার দিকে উপজেলার সফিপুর বালুর মাঠ এলাকায় ইউনিক টাওয়ারের নবম তলার ছাদে সাব্বিরকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে ছাদ থেকে ফেলে দিয়ে হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটায়।
অভিযুক্ত দুই সহোদর হলেন উপজেলার সফিপুর এলাকার ইউনিক টাওয়ার ভবনের নয় তলার বাসিন্দা আব্দুর রহিমের ছেলে রাকিব রায়হান (২১)ও সাকিব রহমান(২১)। এ ঘটনার পর থেকেই তারা পলাতক রয়েছেন।
এ ঘটনায় ওই রাতেই নিহতের বড় ভাই মহিউদ্দিন আহমেদ আবির দুইজনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করা হলেও এখনো কোন আসামীকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। এদিকে ঘটনার ২৭ দিন অতিবাহিত হলেও কোন আসামি গ্রেফতার না হওয়ায় হতাশ প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী ও নিহতের স্বজনরা।
গত ২৩ সেপ্টেম্বর সাব্বির হত্যাকান্ডের ঘটনার সাথে জরিতদের বিচারের দাবিতে মানবন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এ মানবন্ধনের ১২ দিন পর ফের বিচারের দাবিতে শনিবার বেলা সাড়ে এগারোটার দিকে উপজেলার সফিপুর বাজার এলাকায় ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করে। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন গাজীপুর সহকারী পুলিশ সুপার (কালিয়াকৈর জোন) আজমির হোসেন, কালিয়াকৈর থাানার ওসি রিয়াদ মাহমুদ, ওসি অপারেশন মো: জুবায়েরসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
এসময় সহকারী পুলিশ সুপার আজমির হোসেন জানান এ হত্যাকান্ড নিয়ে তদন্ত চলছে অতি দ্রæত আসামীদের গ্রেফতার করা হবে। পরে বিক্ষোভকারীরা ঢাকা টাঙ্গাইল মহসড়ক থেকে অবরোধ তুলে নিলে দুপুর ১ টার দিকে মহাসড়কে যানচলাচল স্বাভাবিক হয়।
আসামীদের দ্রুত আসামিদের দাবি জানিয়ে এসময় বক্তব্য রাখেন, নিহত সাব্বির রহমানের মা সুফিয়া খাতুন, বড় ভাই আবির হোসেন, শিক্ষক জাকির হোসেন প্রমূখ।
এসময় মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সাব্বির হত্যাকান্ডের ২৭ দিন অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত কোনো আসামিকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এদিকে অভিযুক্ত রাকিব ও সাকিবের পরিবার মামলা নিষ্পত্তির জন্য নিহত সাব্বির পরিবারকে বলছেন।
বক্তারা আরো বলেন, অভিযুক্ত দুই ভাইয়ের এক চাচা রয়েছেন পুলিশে কর্মরত।তিনি নাকি মামলাটি ভিন্নক্ষাতে নেয়ার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেন বক্তারা।