■ পুনম শাহরীয়ার ঋতু, জেলা প্রতিনিধি গাজীপুর
গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কাউন্সিলর প্রার্থী ও ১নং ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর ওসমান গণি লিটন রোববার একটি মারামারি মামলায় হাজিরা দিতে গেলে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছেন। এবারেও মিষ্টি কুমড়া প্রতীকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দিতা করছেন। তাছাড়াও প্রকাশ্যে টাকা দিয়ে ভোট কেনার ঘোষণার অভিযোগ উঠেছে ওসমান গণি লিটনের বিরুদ্ধে। যা ইতিমধ্যে ফেসবুকে ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
এলাকাবাসী ও কাউন্সিলরের পরিবারের সদস্যরা জানান, গত ২১ মার্চ সন্ধ্যায় মাদবপুর এলাকায় একটি রাস্তার নির্মাণ সম্প্রসারণ কাজ করার সময় বাড়ী না ভাঙ্গার শর্তে মো: শওকত হোসেন নামের এক বাড়ীওয়ালার কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করেন কাউন্সিল ওমসান গণি লিটন। পরে দাবীকৃত চাঁদার টাকা না পেয়ে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে ৩ জনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন ওসমান গণি লিটন। এ ঘটনায় শওকত হোসেন পরের দিন বাদী হয়ে কাশিমপুর থানায় কাউন্সিলর ওসমান গণি লিটনকে আসামী করে ২৮জনের নামে একটি মামলা দায়ের করেন।
অপরদিকে চাঁদাদাবী ও তিন জনকে কুপিয়ে আহতের ঘটনার মামলায় হাইকোর্ট থেকে ৬ সপ্তাহের আগাম জামিন নেয় কাউন্সিলর। জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় রোববারে গাজীপুরের নিম্ন আদালতে হাজিরা দিয়ে জামিনের আবেদন করেন। এ সময় আদালতের বিচারক এ কাউন্সিলরের জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। এদিকে গত শুক্রবার রাতে তিনি গাজীপুর সিটির কাশিমপুর দক্ষিণ পানিশাইন এলাকায় একটি কর্মী সভায় বক্তৃতার সময় বলেন, কেউ ভোট বিক্রি করলে আমাদের অফিসের নেতাকর্মীদের সাথে যোগাযোগ করবেন। টাকার দরকার হলে ভোটার আইডি জমা দিয়ে টাকা নিয়ে যাইবেন। তাও অন্য কোন প্রার্থীর কাছে যাবেন না। অন্য কোন প্রার্থীর কাছে ভোট বিক্রি করবেন না। টাকার দরকার হলে আমাদেও কাছ থেকে নিয়ে যাবেন। গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ওসমান গণি লিটনের এরকম বক্তব্যেও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। প্রকাশ্যে ভোট কেনার প্রতিশ্রুতি ঘোষণায় এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
এ ব্যাপারে একই ওয়ার্ডের ঠেলাগাড়ী প্রতীকের কাউন্সিলর প্রার্থী মো: আব্দুস সালাম আহমেদ আব্বাস অভিযোগ করে বলেন, কাউন্সিলর প্রার্থী ওসমান গণি নিটন কর্মী সভায় প্রকাশ্য ভোট কেনার ঘোষনা দেওয়া নির্বাচনী আচরন বিধি লঙ্গন করেছেন।
এ ব্যাপারে কাউন্সিলর ওসমান গণি লিটনের ছোট ভাই আহমেদ শরীফ রাজন জানান, একটি মারামারি মামলায় আদালতে হাজিরা দিতে গেলে অন্য আসামীদের জামিন দিলেও বড় ভাই ওসমান গণি লিটনকে জামিন দেননি।