গাজীপুরের কোনাবাড়িতে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে মঙ্গলবার রাতে পুলিশ মজনু মিয়া (৩৫) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছেন। এঘটনায় কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে কোনাবাড়ী মেট্রো থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছেন। গ্রেপ্তারকৃত মজনু মিয়া সিরাজগঞ্জের বেলকুচি থানার খিদ্র গোপরেখি গ্রামের মকবুল আকন্দের ছেলে।
পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ৬ মাস আগে জীবিকার তাগিদে গাজীপুরের কোনাবাড়ি থানার দেওলিয়াবাড়ি এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে রিকশা চালাতেন কিশোরীর বাবা। পেরে তার মেয়েও স্থানীয় একটি ঝুটের গোডাউনে কাজ করত। গত কয়েক মাস ধরে ওই ঝুটের গোডাউনে আরেক শ্রমিক মজনু মিয়া ওই কিশোরীকে রাস্তা ঘাটে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। এক পর্যায় তাকে বিয়ের প্রলোভন দিখিয়ে কুপ্রস্তাবও দেয়। পরে গত ২৪ তারিখ বিকেলে প্রতিদিনের ন্যায় গোডাউনে কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে মজনু মিয়া কিশোরীকে প্রলোভন দেখিয়ে তঁার বাসা বাড়িতে নিয়ে যায়। পরে কিশোরীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করেন। ওইদিন সন্ধ্যার পর কিশোরীর পরিবারের সদস্যরা কিশোরীকে খুঁজে পায় নাই।
গত ২৭ তারিখ কিশোরীর বাবা খোঁজ নিয়ে জানতে পারে মজনু মিয়া তার কিশোরী মেয়েকে রাস্তা থেকে ধরে নিয়ে বাসায় নিয়ে আটকিয়ে ধর্ষণ করেছে।
পরে ওই কিশোরীর পরিবার মজনু মিয়ার বাসা বাড়িতে গেলে মজনু মিয়া তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায়। পওে পরিবারের লোকজন কিশোরীকে উদ্ধার করে বাসায় নিয়ে এসে থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। পুলিশ মঙ্গলবার রাতেই মজনু মিয়াকে গ্রেপ্তার করেন।
কোনাবাড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু সিদ্দিক জানান, ওই কিশোরীর বাবা থানায় ধর্ষণ মামলা করলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে মঙ্গলবার রাতেই মজনু মিয়াকে গ্রেফতার করেছেন। গ্রেপ্তারকৃত মজনু মিয়াকে বুধবার দুপুরে তাকে গাজীপুর জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। কিশোরীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য শহীদ তাজ উদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
Discover more from MIssion 90 News
Subscribe to get the latest posts to your email.