সারাদেশ

মাগুরার সেই শিশুটির বোনের শ্বশুরবাড়িতে আগুন দিলো জনতা

মাগুরায় ধর্ষণের শিকার শিশু আসিয়ার বোনের শ্বশুরবাড়িতে আগুন দিয়েছে বিক্ষুব্ধ জনতা। বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) রাত আটটার দিকে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।

এদিন দুপুরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জানায়, ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন মাগুরায় নির্যাতিত শিশুটি মারা গেছে। এ খবরে দেশজুড়ে বইছে শোকের হাওয়া। সন্ধ্যায় সেনাবাহিনীর একটি হেলিকপ্টারে করে নিথর দেহ নিয়ে মাগুরায় নিজ গ্রামের বাড়িতে ফিরছে শিশু আছিয়া।

এর আগে বিকেল সাড়ে পাঁচটায় রাজধানীর তেজগাঁও পুরাতন বিমানবন্দর থেকে সেনাবাহিনীর একটি হেলিকপ্টার তাকে নিয়ে রওনা হয় স্টেডিয়াম থেকে অ্যাম্বুলেন্সে তাকে নেওয়া হয় গ্রামের বাড়িতে। ঘোষণা অনুযায়ী রাতেই নোমানী ময়দানে সন্ধ্যা ৭টায় তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

জানাজার পর জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ ও মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম শিশুটির লাশ কাঁধে করে বহন করেন। এদিকে শিশু আছিয়ার বাকরুদ্ধ মা কান্নায় ভেঙে পড়ছেন। যেন থামছে না তার বিলাপের ডালি।

শিশু আছিয়ার মা বলেন, ‘আমার মণি যেভাবে মরছে, আমার মণি যেভাবে গলায় ফাঁস দিয়ে মরছে, আমি তারও (অপরাধীর) ফাঁস দিয়ে বিচার চাই। (তার) এরম মৃত্যু চাই আমি, আমার মণির যেমন বেলেড দিয়ে কাটছে, গলায় ফাঁস দেসে, ঠিক সেরকম বিচার চাই আমি আপনাদের কাছে। ওরে যেন ওইরকম ফাঁসি দিয়ে মারে। ওরকম যেন ওরে বেলেড দিয়ে কাটে। আমার মেয়েটারে যে কষ্ট দিছে না? আমি তারেও এরকম দেখতে চাই।’

সেদিনের সেই ঘটনার প্রসঙ্গে আছিয়ার মা বলেন, ‘ওর আপার বাড়িতে যাওয়ার পর, ওর আপাকে ধরে মেরেছিল। তখন আছিয়া বলেছিল, সে বাড়িতে গিয়ে সব বলে দেবে। এরপরই সেই রাতে এরকম ঘটনা ঘটেছে। বড় মাইয়াটারে ইচ্ছামতো মেরে আলাদা ঘরে থুইয়া দিছিল। পরে রাত ১১টার দিকে আমার কাছে ফোন দিয়ে বলসে আমার মণি অসুস্থ। আমি গিয়ে দেখি সদর হাসপাতালে ভর্তি করাইছে। তারে রাইখে পলাইছে ওই মহিলা।’

Author

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments

সম্পর্কিত সংবাদ

Back to top button
0
Would love your thoughts, please comment.x
()
x

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker