বগুড়াসারাদেশ

বগুড়া শেরপুরে ফাঁটল ও বিদ্যুৎবিহীন ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে চিকিৎসা সেবা

সবসময় আতংক ঘরের ভবনের দেয়ালের বিভিন্ন অংশে ফাঁটল দেখা দিয়েছে। ছাঁদ থেকে খসে পড়ছে নির্মাণ সামগ্রী। নেই বিদ্যুৎ সংযোগ প্রচুর গরম। একতলা ছাদ বিশিষ্ট এ ভবন আবার ছাঁদ দিয়েই পড়ছে গরে পানি এ ভবনেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দিয়ে চলছে চিকিৎসা সেবা। আর কর্মকতারা জীবনের ঝুঁকি নিয়েই রোগীদের সেই কাঙ্খিত সেবা দেয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। আবাসিক ভবনে গরু ছাগল রাখার মতও কোন পরিবেশ নেই। আবাসিক ভবন এখন খোলা টয়লেটের জায়গায় পরিনত হয়েছে। আবসিক ভবনের ৪টি রুমে খোলা টয়লেট ও আবর্জনা ফালানোর জায়গা। আবাসিক ভবন এবং টয়লেটটি ভেঙ্গে পরে চারপাশে বিভিন্ন গাছ গাছালি গজিয়ে জঙ্গলে পরিনত হয়েছে। এমনটাই দেখা দেখে গেছে বগুড়ার শেরপুর উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের ভবনের।

জানাযায়, ১৯৭৮ সালে জনগনের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌছে দিতে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান মন্ত্রনালয়ের অর্থায়নে ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কেদ্র প্রতিষ্ঠিত হয়। সেখানে জনবল হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় ১ জন পরিবার কল্যান পরিদর্শিকা, ১নজন উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার, ১ জন পঃ পঃ পরিচালক, ৬ জন অফিস সহায়ক। এতে করে ইউনিয়নের দরিদ্র, অতি দরিদ্রসহ মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো ছোটখাটো চিকিৎসা সেবা পেয়ে আসছে। শেরপুর উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের মধ্যে ৪টি উপস্বাস্থ্য ও ৫টি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কেন্দ্র বাজারেও অবস্থিত ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কেন্দ্রটি দীর্ঘদিন থেকে ব্যবহারের অনোপযোগী হলেও কোনোদিন সংস্কার কাজ হয়নি। উপজেলার প্রায় প্রতিটিরই ইউনিয়নের ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের ভবনের এমন বেহাল দশা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বগুড়ার শেরপুর উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের ভবনের এমন বেহাল দশা। ইউনিয়নের প্রাণ কেন্দ্র বাজার, ইউনিয়ন পরিষদ থাকায় স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি জরুরী ভিত্তিতে নতুন করে নির্মাণ করা দরকার বলে দারি করেছেন স্থানীয়রা। ভবনের দেয়ালে বড় ধরনের ফাটল ধরেছে। ছাদের নির্মাণ সামগ্রী ধসে পরেছে কক্ষ ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। নেই বিদ্যুৎ সংযোগ। ছাদদিয়ে পানি পড়ছে। বসারমত তেমন জায়গা নেই। এলাবাসী কালাম জানান, টয়লেট ও আবাসিক ভবন একদম ভেঙ্গে পড়ে এখন সেগুলো বন্ধ হয়ে আছে। টয়লেট বন্ধ থাকায় ঐ ভবনের মাঝে টয়লেট করছে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পাশে কামার রজব আলী জানান, আবাসিক ভবন জরাজির্ণ হয়ে পড়ে আছে ঐটা এখন জনসাধারণের টয়লেটের জায়গা। রুগি চিকিৎসা নিবে কি করে।

খানপুর ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম রাঞ্জু বলেন, প্রতিদিন ইউনিয়নের শত শত নারী-পুরুষ, শিশু ও কলেজ-স্কুলগামী মেয়েরা এসে এই কেন্দ্র থেকে চিকিৎসা সেবা নেয়। দ্রুত কেন্দ্রটি সংস্কার না করা হলে ইউনিয়নে চিকিৎসা সেবা ব্যহত হচ্ছে দিন দিন বন্ধ হয়ে যাবে। ইউনিয়নে স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে ভবনগুলো দ্রুত সংস্কার করা উচিত। খানপুর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের দায়িত্ব প্রাপ্ত উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার রনজিৎ কুমার তালুকদার বলেন, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাঙ্খিত সেবা দেয়ার চেষ্টা করছি। ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ ভবন ও আবাসন ভবন পরিত্যক্ত হয়ে পড়েছে। আমরা বাহিরে গিয়ে টয়লেট করে আসি। সচল করে দেওয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের জানানো হয়েছে। এ ব্যাপারে শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডা. আব্দুল কাদের বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি প্রেরণ করা হয়েছে। খুব শিগগিরই ভবনগুলো সংস্কারের কাজ শুরু হবে বলে তিনি আশাবাদী।

Author

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments

সম্পর্কিত সংবাদ

এছাড়াও পরীক্ষা করুন
Close
Back to top button
0
Would love your thoughts, please comment.x
()
x

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker