সারাদেশের ন্যায় গাজীপুরের কালিয়াকৈরে লকডাউন কার্যকর করতে কঠোর অবস্থানে রয়েছে পুলিশ প্রশাসন। লকডাউনের দ্বিতীয় দিন উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালতের টহল ও অভিযান পরিচালিত হয়েছে। এদিকে কঠোর লকডাউনে মহাসড়ক ফাঁকা থাকলেও পাড়া মহল্লার চিত্র বলছে ভিন্ন উপজেলার হরিনহাটি, বিশ্বাস পাড়া, চন্দ্রা পল্লী বিদ্যুত, মোল্লাপাড়া, পূর্ব চান্দরা, পাশাগেইট, বোর্ডমিল, সফিপুর বাজার, রাখালিয়াচালা, আন্দারমানীক এলাকা সহ উপজেলার আরো বিভিন্ন জায়গায় লকডাউনের বিধিনিষেধ অমান্য করেই চলছে দোকান পাট, এদিকে চায়ের দোকানে দেখা গেছে মানুষের উপচে পড়া ভীড়। প্রায় জায়গায় দেখা গেছে স্বাস্থ বিধি নিষেধ তুয়াক্কা না করেই কেরাম খেলার রমরমা বানিজ্য চলছে। বিশেষ করে হরিনহাটি আর বিশ্বাস পাড়া এলাকায় সব গুলি চায়ের দোকান খোলা রেখে পাশাপাশি টাকার বিনিময়ে কেরামের রমরমা জুয়া বানিজ্য চলছে ।
এদিকে শুক্রবার উপজেলার চন্দ্রা এলাকায় সকাল থেকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে সকালের দিকে গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিত কিছু বাস চলাচল করলেও গণপরিবহন মহাসড়কে একেবারেই নেই।
এ উপজেলার অধিকাংশ এলাকায় শিল্প কারখানা থাকায় পরিবহনের অভাবে গার্মেন্টস কর্মীদের হেঁটে গন্তব্যে পৌঁছাতে যেতে দেখা গেছে।
রাস্তাঘাটে মানুষের চলাচল কম দেখা গেছে। সেনাবাহিনীর গাড়িও মহাসড়ক দিয়ে টহল দিচ্ছে। জেলা পুলিশের দুইটি চেকপোস্ট কাজ করছে। সরজমিনে বেশ কয়েকটি সড়ক ঘুরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর অবস্থানের চিত্র দেখা গেছে। মোড়ে মোড়ে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া রাস্তায় কাউকে থাকতে দেওয়া হয়নি। রাস্তায় বের হলে প্রশ্নের মুখোখুখি হতে হয়েছে সবাইকেই। যৌক্তিক জবাব দিতে না পারলেই করা হয়েছে জরিমানা।
হাইওয়ে পুলিশের গাজীপুর রিজিয়নের পুলিশ সুপার আলী আহমদ খানের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, উপযুক্ত কারণ ছাড়া কোন প্রাইভেটকার চলাচল করতে দেওয়া হচ্ছে না। মহাসড়কে আমাদের ১১টি চেকপোস্ট কাজ করছে। সরকারের যে বিধিনিষেধ আছে তা কার্যকর করতে হাইওয়ে পুলিশ তৎপর রয়েছে।