স্থলপথে ৯ ধরনের পণ্য আমদানিতে ভারতের নিষেধাজ্ঞা, বেনাপোলে ব্যবসায়ীরা হতাশ
বাংলাদেশ থেকে স্থলপথে পাট ও পাটজাত পণ্য আমদানিতে ভারতের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের নিষেধাজ্ঞায় বেনাপোলের ব্যবসায়ীরা হতাশ হয়ে পড়েছেন। এই নিয়ে গত তিন মাসে তিন দফায় বাংলাদেশ থেকে পণ্য আমদানিতে বিধিনিষেধ আরোপ করল ভারত।
বাংলাদেশ থেকে স্থলপথে পাট ও পাটজাত পণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ভারতের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়। স্থলবন্দর দিয়ে আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা দিলেও দেশটির নভোসেবা বন্দর ব্যবহার করা যাবে। শুক্রবার ভারতের বৈদেশিক বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক **অজয় ভাদু** স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আমদানি নিষিদ্ধ করা এসব বাংলাদেশি পণ্যের মধ্যে রয়েছে **কাঁচা পাট, পাটের রোল, পাটের সুতা ও বিশেষ ধরনের কাপড়**।
এ নিয়ে বাংলাদেশ থেকে পণ্য আমদানিতে তিন মাসে তিন দফায় বিধিনিষেধ আরোপ করল ভারত। এর আগে গত **১৭ মে** স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে তৈরি পোশাক, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, প্লাস্টিক, কাঠের আসবাব, সুতা ও সুতার উপজাত, ফল ও ফলের স্বাদযুক্ত পানীয়, কোমল পানীয় প্রভৃতি পণ্য আমদানিতে বিধিনিষেধ দিয়েছিল। গত **৯ এপ্রিল** ভারতের কলকাতা বিমানবন্দর ব্যবহার করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানির সুবিধা প্রত্যাহার করেছিল দেশটি।
তবে এভাবে একের পর এক পণ্য আমদানি-রপ্তানিতে ভারত সরকারের নিষেধাজ্ঞায় বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দরে পণ্যের জোগান কমতে শুরু করেছে বলে ব্যবসায়ীরা জানায়। এতে হতাশায় ভুগছেন বন্দর ব্যবহারকারী বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ও সাধারণ ব্যবসায়ীরা।
ভারতের পেট্রাপোল ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং এজেন্ট স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক **কার্তিক চক্রবর্তী** বলেন, “পণ্য আমদানি-রপ্তানিতে একের পর এক নতুন সিদ্ধান্ত নেওয়ায় হতাশায় ভুগছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।” তিনি আরও বলেন, “ভারতের অনেক ছোট ছোট আমদানিকারকরা বাংলাদেশ থেকে পাট ও পাটজাত দ্রব্য আমদানি করতো। এসব ছোট আমদানিকারকরা সমুদ্রপথে এ পণ্য আমদানিতে নিরুৎসাহিত হবেন।”
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি **সাজিদুর রহমান** বলেন, “বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে প্রতিদিন অনেক পাট ও পাটজাত দ্রব্য ভারতে রপ্তানি হয়। ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় হঠাৎ করে স্থলপথে পাট ও পাটজাত পণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করায় অনেক ব্যবসায়ী ও কর্মচারীরা কাজ হারিয়ে বেকার হয়ে পড়বে।”