ঠাকুরগাঁওয়ে পূজায় শাড়ি কিনে না দেওয়ায় স্বামীর সাথে অভিমান করে নিজ শয়ন কক্ষে সরের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন দিথি রাণী (১৮) নামে এক গৃহবঁধূ।
ঘটনাটি ঘটেছে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ৬ নং আউলিয়াপুর ইউনিয়নের কচুবাড়ী নাফিত পাড়া গ্রামে।
রোববার রাতে ওই গৃহবঁধূকে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। এ সময় রংপুর নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্যুবরণ করেন।
নিহত দিথি রাণী সদর উপজেলার আউলিয়াপুর ইউনিয়নের কচুবাড়ী নাপিতপাড়া গ্রামের ভমর রায়ের স্ত্রী।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, গত দেড় মাস আগে নিজের বড় বোনের দেবরের সাথে প্রেম করে দিথি রাণী বিয়ে হয় স্বামী ভমর রায়ের সাথে।
রোববার ভূল্লী বাজারে স্বামীর কাছে দামি শাড়ি কিনতে চাইলে স্বামী না দেওয়ায় বাসায় গিয়ে তাদের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। অভিমানে রাতে সে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস দেয়। তার স্বামী ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে তাকে উদ্ধার করে জীবিত আছে দেখে ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। হাসপাতালে যাওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়।
স্বামী ভমর রায় বলেন, ভাইয়ের শালিকাকে প্রেম করে বিয়ে করি। আমি রাজমিস্ত্রীর কাজ করায় তেমন রোজগার না থাকায় সংসারে অভাব অনটন লেগে থাকতো। পূজায় শাড়ী কিনার জন্য বাজারে গেছিলাম আমার কাছে মাত্র ১ হাজার টাকা ছিলো। কিন্তু সে কমদামে শাড়ী নিবে না। এই অভিমানে বাসায় এসে ফাঁস লাগায়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ তানভীরুল ইসলাম জানান, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।