বিনোদন

সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার রায়, যা বললেন মেয়ে লামিয়া

নব্বইয়ের দশকের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার রায় হয়েছে আজ। রায়ে আলোচিত ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাই ওরফে আব্দুল আজিজসহ তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। দণ্ডিত অন্য দুই আসামি হলেন- ট্রাম্পস ক্লাবের মালিক আফাকুল ইসলাম ওরফে বান্টি ইসলাম ও আদনান সিদ্দিকী। দণ্ডিত প্রত্যেককে দুই লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

এ টাকা না দিলে তাদের আরো এক মাসের কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে। তবে আসামিদের তিনজনই পলাতক। 

আজ বৃহস্পতিবার (৯মে) ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২-এর বিচারক অরুণাভ চক্রবর্তী এ রায় দেন। মামলার দায় থেকে খালাস দেওয়া হয়েছে- সেলিম খান, শীর্ষ সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত সানজিদুল ইসলাম ইমন ও আশিষ রায় চৌধুরী ওরফে বোতল চৌধুরী, তারিক সাঈদ মামুন, হারুন অর রশীদ ওরফে লেদার লিটন ওরফে বস লিটন এবং ফারুক আব্বাসীকে।

অভিযোগ প্রমাণ করতে না পারায় তাদের খালাস দেওয়া হয়েছে বলে রায়ে উল্লেখ করেছেন বিচারক।

রায় ঘোষণার পর বৃহস্পতিবার দুপুরে সোহেল চৌধুরীর মেয়ে লামিয়া চৌধুরী নিজের প্রতিক্রিয়া বলেন, ‘আমার বাবা তো ফেরত আসবে না। উনারা (অপরাধীরা) যেটা করেছেন, সেটার জবাব উনাদেরই দিতে হবে। উনাদের যাবজ্জীবন হোক কিংবা যেটাই হোক—বাবার মৃত্যু আমার জীবনে যে প্রভাব ফেলেছে, সেটা কোনোভাবেই পরিবর্তন হবে না।

রিয়েলিটি নিয়েই আমাকে থাকতে হবে। এখন তাঁদের বিচারে আমাদের কোনো কিছুই পরিবর্তন হয়নি, হবেও না।’

১৯৯৮ সালের ১৮ ডিসেম্বর বনানীর ১৭ নম্বর রোডের আবেদীন টাওয়ারে ট্রাম্পস ক্লাবের নিচে সন্ত্রাসীদের গুলিতে মারা যান নায়ক সোহেল চৌধুরী। ওই ঘটনায় সোহেল চৌধুরীর ভাই তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী রাজধানীর গুলশান থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটির তদন্ত শেষে ১৯৯৯ সালের ৩০ জুলাই গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার আবুল কাশেম ব্যাপারী ৯ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন।

২০০১ সালের ৩০ অক্টোবর ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। এর দুই বছর পর মামলাটির বিচার দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য ঢাকার দুই নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়। ওই বছরই এক আসামি মামলা বাতিলে হাইকোর্টে আবেদন করেন। সেই আবেদনে শুনানির হাইকোর্ট মামলার বিচারকাজ স্থগিত করেন। ২০১৫ সালে সেই স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করেন হাইকোর্ট। তারও সাত বছর পর ২০২২ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি মামলার নথি বিচারিক আদালতে ফেরত আসলে সাক্ষ্যগ্রহনের উদ্যোগ নেন বিচারিক আদালত। পরে ২৮ আগস্ট সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক জাকির হোসেনের আদালতে সাক্ষ্য দেন মামলার বাদী সোহেল চৌধুরীর ভাই তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী।

৩৮ জন সাক্ষীর মধ্যে সাক্ষ্য দেন ১০জন সাক্ষী। চলতি বছর ২৮ জানুয়ারি এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। এরপর শুরু হয় চূড়ান্ত যুক্তিতর্ক। গত ২৯ এপ্রিল রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের চূড়ান্ত যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের পর মামলাটি রায় ঘোষণার জন্য রেখেছিলেন আদালত।

Author

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments

সম্পর্কিত সংবাদ

Back to top button
0
Would love your thoughts, please comment.x
()
x

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker