রাজনীতি

জোট ঘোষণার আগেই আ.লীগের কাছে ১১ আসনের চাহিদা দেয় কল্যাণ পার্টি

বাংলাদেশ মুসলীম লীগ (বিএমএল) ও বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি নিয়ে ‘যুক্তফ্রন্ট’ গঠন করেছে বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি। গতকাল বুধবার এ ফ্রন্টের আত্মপ্রকাশ হয়। এই জোট গঠনের ঘোষণার দুই দিন আগেই আওয়ামী লীগের কাছে ১১টি সংসদীয় আসন চেয়ে চাহিদাপত্র দেয় কল্যাণ পার্টি। 

১৯ নভেম্বর রাজধানী ঢাকার একটি অভিজাত ক্লাবে আওয়ামী লীগের দ্বায়িত্বশীল দুই নেতার সঙ্গে বৈঠক করে আসনের চাহিদার ওই তালিকা দেয় দলটি।

ওই বৈঠকের একটি সূত্র তথ্য নিশ্চিত করেছে। সূত্রের মাধ্যমে ১১ জনের তালিকার একটি কপি পাওয়া গেছে। যাতে ইংরেজিতে ‘ইবরাহিম’ লেখা একটি স্বাক্ষর আছে। সময় উল্লেখ করা হয়েছে, ১৯ নভেম্বর ২০২৩, বিকেল সোয়া চারটা।

তালিকায় দলটির প্রতিষ্ঠাতা মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম (বীর প্রতীক) পছন্দের তিনটি আসনের কথা জানিয়েছেন। আসনগুলো হলো চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী), কক্সবাজার-১ (চকরিয়া) এবং ঢাকা-১০ (ক্যান্টনম্যান্ট, গুলশান)। এর মধ্যে যেকোনো একটি আসনে নির্বাচন করতে চান কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান।

এ ছাড়া তালিকায় আছেন আব্দুল আউয়াল মামুন।

তিনি কক্সবাজার-১ অথবা ঢাকা-৪ আসনের প্রার্থীতা চান। আব্দুল্লাহ আল হাসান সাকিব চেয়েছেন ঢাকা-৪ অথবা ঢাকা-৫ আসন।

তালিকা অনুযায়ী, আসন চেয়েছেন মো. ফরহাদ (লক্ষ্মীপুর-২), ওবায়দুল হক সিরাজি (ফেনী-১), বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ইলিয়াস (চট্টগ্রাম-৯), জাহিদুর রহমান (মুন্সিগঞ্জ-১), শাহানা সুলতানা শীলা (রাজশাহী-৬), সাহিদুর রহমান তামান্না (কুমিল্লা-৬), নজরুল ইসলাম (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪) ও মফিজউদ্দিন (কুমিল্লা-৮)।

ঢাকা-৪ ও ৫ নম্বর আসনে প্রার্থী হতে চাওয়া কল্যাণ পার্টির অতিরিক্ত মহাসচিব আব্দুল্লাহ আল হাসান সাকিব তালিকার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘একটি তালিকা দেওয়া হয়েছে।

আমরা আসন পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী।’গতকাল বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘যুক্তফ্রন্ট’ গঠনের কথা জানিয়ে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দেন কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান ইবরাহিম। আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, নির্বাচনে ১০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার প্রস্তুতি আছে যুক্তফ্রন্টের। 

সৈয়দ ইবরাহিমের কল্যাণ পার্টি এতদিন বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে অংশ নিয়েছে। অবস্থান পরিবর্তনের বিষয়ে গতকালের ওই সংবাদ সম্মেলনে সৈয়দ ইবরাহিম বলেন, ‘আমি এবং আমার নেতাকর্মীরা কষ্ট করে রাজনীতিটাকে টিকিয়ে রেখেছি। আমাদের টিকে থাকার একটা সীমা আছে। আমার এই মুহূর্তের রাজনৈতিক অক্ষমতা হচ্ছে, এই সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে আর পেরে উঠছি না।’

সৈয়দ ইবরাহিম আরো বলেন, ‘২৮ অক্টোবরের পর একটা সুনির্দিষ্ট অবস্থা এসে দাঁড়িয়েছে। আমাকে একটা সিদ্ধান্ত নিতে হবে- আমি কি নিশ্চুপ থাকব নাকি বিকল্প পন্থা অবলম্বন করব। আমি বিকল্প পন্থা নিলাম। কারণ, আমার যে কথাগুলো বলার জায়গা নাই সেটা সংসদে বলব।’ 

Author

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments

সম্পর্কিত সংবাদ

Back to top button
0
Would love your thoughts, please comment.x
()
x

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker