করোনার পজিটিভ এর হার কমে আসায় এবং টিকাপ্রাপ্তি অনেকাংশে নিশ্চিত হওয়ায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার পক্ষ মত দিয়েছে করোনা-সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি। বৃহস্পতিবার (২ সেপ্টেম্বর) রাতে পরামর্শক কমিটির বৈঠকে এ মতামত উঠে এল।
বৈঠক শেষে রাত পৌনে ১২টার দিকে কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ সহিদুল্লা গণমাধ্যমকে বলেন, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ কমে আসায় এবং টিকাপ্রাপ্তি নিশ্চিত হওয়ায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে এখন কোন বাঁধা নেই। তবে, পরিস্থিতি বিবেচনা করে অবশ্যই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
এই সিদ্ধান্ত আনুষ্ঠানিকভাবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে জানিয়ে দেওয়া হবে বলে জানা গেছে।
এর আগে, একই দিনে জাতীয় সংসদের অধিবেশনে দ্রুত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে সংসদকে জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার বক্তব্যের পর রাতেই পরামর্শক কমিটির বৈঠকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার পক্ষে মত এল।
শেখ হাসিনা বলেছিলেন, মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা দেশের সব স্কুল-কলেজ খুলে দেওয়ার ব্যবস্থা হচ্ছে। এরই মধ্যে আমি স্কুল-কলেজ খুলে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি। সেই ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে। শিক্ষকদের টিকাও দেওয়া হয়েছে। শিক্ষকদের পাশাপাশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যারা কর্মরত আছেন তাদের পরিবারের সদস্যদেরও টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, করোনা মোকাবিলায় বাংলাদেশ যে ব্যবস্থা নিয়েছে; তা বিশ্বের অনেক দেশই পারেনি। দেশে করোনার টিকার কোনো সমস্যা নেই। আমরা যেখান থেকেই পারি কিনে আনছি।
এ সময় করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে টিকা সংগ্রহ ও বিনামূল্যে টিকাদান কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
এদিকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে আগামী ৫ সেপ্টেম্বর (রোববার) উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক ডাকা হয়েছে। কবে থেকে স্কুল-কলেজ খুলে দেওয়া হবে বৈঠকে সে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানা গেছে। স্কুল-কলেজ খোলার পর করণীয় কী কী হবে সেসব বিষয়েও বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।