মাত্র একদিন পরেই পবিত্র ঈদুল আজহা। শেষ মুহুর্তে ঈদের ছুটিতে নাড়ির টানে গ্রামে যাচ্ছে শিল্প কারখানাসহ অন্যান্য কর্মজীবী মানুষরা। এদিকে বুধবার সকাল থেকেই দিনবর টানা বৃষ্টিতে চরম ভোগান্তিতে ঘরমুখো মানুষেরা। অরদিকে যানবাহনে দিগুন ভাড়া ও বৃষ্টি উপেক্ষা করে যাওয়ার চেষ্টা করছে নিজ নিজ গন্তব্যে।
তাছাড়া ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের গাজীপুরের কালিয়াকৈর চন্দ্রা এলাকায় সব শিল্প কারকাখানা ঈদের ছুটি দেয়ায় গতকাল বিকেল হতেই থেমে থেমে যানজটের সৃষ্টি হয়। রাতভর চলেছে যানবাহন। তবে সকাল হতেই এ মহাসড়কে যানজট না হলেও ঘরমুখো মানুষের চাপ রয়েছে আগের মতোই।
বুধবার (২৮ জুন) সকাল ৯ টায় উত্তরবঙ্গের প্রায় ১৮ টি জেলার মূল প্রবেশ পথ ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়কের চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকায় সরেজমিনে দেখা গেছে, ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়কে ঘরমুখো মানুষের উপচে পড়া ভিড়। এদিকে সকাল থেকে বৃষ্টি থাকায় বিপাকে পরেছে হাজারও যাত্রীরা। তারা বৃষ্টি উপেক্ষা করেই পথে বের হচ্ছে কেউ ছাতা নিয়ে, কেউ মাথায় পলিথিন পেচিয়ে, কেউবা আবার বৃষ্টিতে ভিজে ভিজে রওনা হয়েছে। চন্দ্রা ত্রিমোড়ে যানজট না থাকলেও পরিবহন ও যাত্রীদের চাপে জটলা বেঁধেছে। বৃষ্টির মধ্যে হাজার হাজার যাত্রী অপেক্ষা করছে গাড়ির জন্য।
বৃষ্টিতে সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় পড়েছে শিশুরা। পরিবারের সাথে ঈদ করতে তারা ভিজে ভিজে যাচ্ছে গ্রামে। মায়ের কোলের শিশুকে নিয়েও এই বৃষ্টির মধ্যে বের হয়। উপর ত্রিপল টাঙিয়ে রওনা হয়েছে অনেকেই।
রাজশাহীর তানোড় যাচ্ছেন সালমা আক্তার তিনি জানান, গতকাল কারখানা ছুটি হয়েছে। যানজটের কারণে গতকাল বের হইনি। সকালে বাসা থেকে বের হতেই বৃষ্টির কবলে পড়তে হয়েছে। বৃষ্টি না থামায় বাচ্চাদের নিয়ে বের হয়েছি কারণ যে বাসায় থাকি সেটি ফাঁকা হয়ে গেছে। এজন্য একা থাকাটা কষ্টকর এজন্য বৃষ্টির মধ্যেই বের হলাম।
নাওজোর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) আতিকুল ইসলাম বলেন, এই বৃষ্টির মধ্যেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তবে সকাল থেকে বৃষ্টির কারণে ঘরমুখো মানুষের জন্য যাত্রা কষ্টকর হয়ে উঠেছে।