টাঙ্গাইল-মধুপুর মহাসড়কের দেউলা বাড়ি ও রক্তিপাড়ার মধ্যবর্ত্তী স্থানে মাদারগঞ্জ স্পেশাল নৈশ বাসে ডাকাতির ঘটনায় ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে টাঙ্গাইল জেলা পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার মোনতলা গ্রামের শাহ আলমের ছেলে রতন মিয়া, রংপুর জেলার পীরগঞ্জের আনোয়ারুল ইসলামের ছেলে সুজন মিয়া, টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার মাইঝবাড়ি গ্রামের জহু মিয়ার ছেলে আরিফ, ভুয়াপুর উপজেলার ফলদা গ্রামের মৃত দুদু মিয়ার ছেলে সাইফুল ইসলাম। বুধবার বিকেলে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যলয়ের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
টাঙ্গাইল জেলা পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার জানান, গত সোমবার দিবাগত রাতে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা যাত্রিবাহী মাদারগঞ্জ পরিবহনের বাসটি বাইপাল এসে যাত্রি উঠিয়ে নেয়। ওই যাত্রিদের মধ্যেই ৭/৮ জন ডাকাত দলের সদস্য ছিল। তারা ঘাটাইল উপজেলার দেউলাবাড়ী এলাকায় এসে চালককে মারধর করে দেশীয় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে চলন্ত বাসে ডাকাতি শুরু করে। এদের মধ্যে কয়েকজন বাধা দিতে গেলে তাদেরকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। এ সময় সাত যাত্রী আহত হন। রক্তাক্ত যাত্রীদের চিৎকারে অন্যর আতঙ্কিত হলে বাসের সকল যাত্রিদের কাছে থাকা মোবাইল, স্বর্ণালঙ্কার, টাকা লুট করে নিয়ে রক্তিপাড়া পেট্রোল পাম্পের পরে বেগুন বাগানের কাছে বাস থামিয়ে ডাকাতদল পালিয়ে যায়।
এরপর থেকে টাঙ্গাইল জেলা পুলিশ কয়কটি টিমে বিভক্ত হয়ে অভিযান চালায়। এক পর্যায়ে তথ্য যোগাযোগের মাধ্যমে আসামী রতনকে টাঙ্গাইলের গোপালপুর থেকে আটক করা হয়। তার কাছে থেকে ডাকাতি কার্যে ব্যবহৃত ০১টি সুইচ গিয়ার চাকু এবং লুন্ঠিত ০১টি মোবাইল ফোন উদ্ধার পূর্বক জব্দ করা হয়।
তার দেয়া তথ্য মতে আশুলিয়া থেকে অপর তিনজনকে আটক করা হয়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। বাকীদের আটক করার জন্য অভিযান চলমান রয়েছে। আটককৃত ব্যক্তিদেরকে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে প্রেরণ করা হবে।