গাজীপুর

ধর্ষনের শিকার কিশোরী, ৮মাসের অন্তঃসত্ত্বা আটক-১

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার মৌচাক এলাকায় গত আট মাস ধরে লাগাতার ধর্ষনের শিকার হয়ে এক কিশোরী (১৪) ৮মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে।

পরে পুলিশ জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ খবর পেয়ে ধর্ষককে আটক করে। এদিকে বিচারের দাবিতে পুলিশ ফাঁড়ীতে ২১ ঘন্টা অবস্থানের পর কিশোরীর মামলা নেয় পুলিশ। এ ঘটনায় ধর্ষক সাদা মিয়া (৫৫) কে আটক করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) উপজেলার মৌচাক এলাকায় এ ঘটনাঘটে। আটককৃত ধর্ষক হলেন, গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার চকদাতিয়া গ্রামের আকিম উদ্দিন মন্ডলের ছেলে। ভুক্তভোগী কিশোরী, ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত ধর্ষক সাদা মিয়া ও ভুক্তভোগী কিশোরী উপজেলার পূর্ব মৌচাক এলাকায় একই বাসায় ভাড়ায় বসবাস করতেন। আগে থেকেই পরিচিত থাকায় ভুক্তভোগী ওই কিশোরী ধর্ষক সাদা মিয়ার দোকানে আসা যাওয়া করতো এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে অভিযুক্ত সাদা মিয়া তার দোকানের ঝাপ লাগিয়ে ওই কিশোরী গলায় ছুরি ধরে আট মাস পূর্বে প্রথম ধর্ষণ করেন। পরে কিশোরীকে একাধিক বার ব্ল্যাকমেইল করে ধর্ষণ করে অভিযুক্ত সাদা মিয়া। পরে কিশোরীর শারীরিক অবস্থার পরিবর্তন দেখে সন্দেহ হলে তাকে উপজেলার মৌচাক পপুলার হসপিটালে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা করে কিশোরীর পরিবারকে জানান সে আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা। পরে কিশোরীকে পারিবারিক ভাবে চাপ প্রয়োগ করা হলে কিশোরী জানান প্রতিবেশী সাদা মিয়া তাকে হত্যার ভয় দেখিয়ে জোর পূর্বক একাধিকবার ধর্ষণ করেন। পরে খবর পেয়ে বাড়ির মালিক ফকরুল মেম্বার বিষয়টি মিমাংসার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। পরে জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ এর ফোন পেয়ে সোমবার রাত ১ টার সময় ধর্ষক সাদা মিয়াকে আটক করে এবং ভুক্তভোগী কিশোরীকে উদ্ধার করে ফাঁড়ীতে নিয়ে আসেন মৌচাক পুলিশ ফাঁড়ীর উপপরিদর্শক আসাদুজ্জামান।

পরে বিষয়টি মীমাংসার জন্য সোমবার রাত একটা থেকে মঙ্গলবার রাত সাড়ে দশটা পর্যন্ত মৌচাক পুলিশ ফাঁড়ীতে ওই কিশোরীকে বসিয়ে রেখে দেন দরবার চলতে থাকে। পরে মৌচাক পুলিশ ফাঁড়ীতে কোন সুরাহা না হওয়ায় মামলা দিয়ে মঙ্গলবার রাত ১১টায় অভিযুক্ত সাদা মিয়া ও ভুক্তভোগী ওই কিশোরীকে কালিয়াকৈর থানায় পাঠানো হয়। কিশোরীর মামা শহিদুল ইসলাম জানান, মৌচাক পুলিশ ফাঁড়ী থেকে আমাদের আর্থিক ক্ষতিপূরণের আশ্বাস দিয়ে অন্তঃসত্ত্বা ওই কিশোরী সহ আমাদের ২১ ঘন্টা মৌচাক পুলিশ ফাঁড়ীতে বসিয়ে রাখে।

মৌচাক ইউপি সদস্য ফকরুল মেম্বার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান বিষটি আমি মিমাংশা করার সাহস পাইনি।

কালিয়াকৈর থানার মৌচাক পুলিশ ফাঁড়ীর ওসি শহীদুল ইসলাম জানান,কিশোরীকে ডাক্তারি পরিক্ষা নিরিক্ষা করার জন্য গাজীপুর শহীদ তাজ উদ্দিন আহম্মেদ মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে এ বিষয়ে মামলা হয়েছে অভিযুক্তকে আদালতের মাধ্যমে বুধবার দুপুরে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে ।


Discover more from MIssion 90 News

Subscribe to get the latest posts to your email.

সম্পর্কিত সংবাদ

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Back to top button

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker