হাটের সম্পত্তিতে জোড় করে ঘড় নির্মাণের পায়তারা, সরকারী কাজে বাধা প্রদান, গ্রাম পুলিশকে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দেয়া এবং ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তার মোবইল ফোন ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগে ঠাকুরগাওয়ের পীরগঞ্জে ৫৮ জনের নামে মামলা করা হয়েছে। সোমবার রাতে উপজেলার খনগাঁও ইউনিয়ন ভূমি অফিসের উপ-সহকারী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মনোয়ার হোসেন বাদি হয়ে থানায় এ মামলা দায়ের করেন। মামলায় ৮ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অজ্ঞাত নামা আসামী করা হয়েছে আরো ৫০ জনকে। তবে কেউ গ্রেফতার হয়নি।
আরো পড়ুন: ব্যাংকে এক পরিবারের ৩ জনের বেশি পরিচালক নয়
মামলা সুত্রে জানা যায়, পীরগঞ্জ উপজেলার খনগাঁও ইউনিয়নের খনগাঁও মৌজায় এস এ ১ নং খাস খতিয়ানের ৩২৫ ও ৩২৫/১৫৯৫ নং দাগে ৪২ শতাংশ জমি হাট হিসেবে তৎকালীন কালেক্টর দিনাজপুর নামে রেজিষ্টার ভুক্ত হয়। যেখানে ১২ বছর পূর্বে সপ্তাহের প্রতি শনিবার ও বুধবার হাট বসতো। বর্তমানে সেখানে ৫/৬টি দোকান রয়েছে। গত সোমবার সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে ঐ হাটের সরকারী জমিতে এজাহার নামীয় ৮ জন সহ ৪০/৫০ জন লোক ঘড় নির্মাণ করার পায়তারা করে। খবর পেয়ে উর্দ্ধতন কতৃপক্ষের নিদের্শে খনগাঁও ইউনিয়ন ভূমি অফিসের উপ-সহকারী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মনোয়ার হোসেন দুই জন গ্রাম পুলিশকে সাথে নিয়ে সেখানে যায় এবং তাদের ঘড় নির্মাণ করতে নিষেধ করেন। ঘড় নির্মাণকারীরা নিষেধ অমান্য করে ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তাসহ গ্রাম পুলিশদের ঘিড়ে ফেলে এবং সরকারী কাজে বাধা দেয়।
আরো পড়ুন: রুচির দুর্ভিক্ষে হিরো আলমের উত্থান: মামুনুর রশীদ
এক পর্যায়ে গ্রাম পুলিশ এলাহী বকস ও সবিনকে পোশাক পড়া অবস্থায় ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দেয় এবং ভূমি কর্মকর্তার টার্চ মোবাইল ফোন সেট ছিনিয়ে নেয় ঘড় নির্মাণকারীরা। এ বিষয়ে পীরগঞ্জ থানার ওসি জাহাঙ্গীর আলম বলেন, সরকারি হাটের জমিতে জোড় করে ঘড় তোলার ঘটনায় ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা বাদি হয়ে থানায় মামলা করেছেন। তবে এখন পর্যন্ত গ্রেফতার হয়নি।
আরো পড়ুন: ছাত্রীকে কাছে রাখতেই নাটক, ধর্ষণের অভিযোগও শিক্ষিকার শেখানো!
উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহরিয়ার নজির বলেন, কালেক্টরেটের নামে রেকডিয় হাটের সরকারী জমিতে অবৈধ ভাবে ঘড় তোলার সময় নিষেধ করা হলে, ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তাসহ গ্রাম পুলিশকে ধাক্কাধাক্কি এবং মোবাইল ফোন ছিনিয়ে দেয়ার ঘটনা দুঃখ জনক। সরকারী স্বার্থ রক্ষায় তারা বদ্ধ পরিকর। ঐ ঘটনায় সরকারের পক্ষ থেকে মামলা করা হয়েছে। উপজেলা চেয়ারম্যান আখতারুল ইসলাম বলেন, একটি মহল এলাকায় বিশৃংখলা সৃষ্টির জন্য পায়তারা করছে। এ বিষয়ে উপজেলা প্রশাসন সজাগ রয়েছে। যে কোন মুল্যে এলাকায় শান্তি শৃংখলা রক্ষা করা হবে।