ঠাকুরগাঁও

ঠাকুরগাঁও যৌতুকের দাবিতে স্বামী কর্তৃক পাশবিক নির্যাতনের শিকার গৃহবধূ- হাসপাতালে ভর্তি

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার গড়েয়া ইউনিয়নে স্বামী সহ স্বামীর পরিবার লোকজন মারধোর করে, গলায় ওড়না পেচিয়ে হত্যার চেষ্টা করলে, গৃহবধূ প্রাণ বাঁচতে  স্বামীর বাড়ি থেকে ক্ষেতবাড়ি দিয়ে পালিয়ে বাপের বাড়িতে যায়।

মঙ্গলবার (২১ মার্চ) গৃহবধূকে ঠাকুরগাঁও আধুনিক  সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। 

আহত গৃহবধূর নাম সাবিনা আক্তার । সাবিনা আক্তার ঠাকুরগাঁও  সদর উপজেলার গড়েয়া ইউনিয়নের গোপালপুর  গ্রামের রিকশাচালক সোলাইমান আলীর  মেয়ে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরে করার প্রস্তুতি চলছে। 

নির্যাতিতা গৃহবধূ ও তার স্বজনরা জানায়, ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার গড়েয়া ইউনিয়নের গোপালপুর  গ্রামের সোলাইমান আলীর মেয়ে সাবিনার সঙ্গে একই গ্রামের দেউনিয়া বাজার এলাকার মান্নান এর ছেলে মাসুদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই  মাসুদ  নানা অজুহাতে টাকা চেয়ে সাবিনার উপর নির্যাতন করে আসছে। সাবিনার  হতদরিদ্র পরিবারের তেমন কোন সঙ্গতি না থাকলেও মেয়ের সুখের কথা ভেবে বিয়ের সময় তারা ধার-দেনা করে জামাইকে অনেক টাকা পয়সা যৌতুক দিয়েছে। 

মাসুদ প্রবাসে যাওয়ার জন্য  সীমাহীন যৌতুকের দাবি করে, সাবিনার পরিবারের পক্ষে সম্ভব না হওয়ায় এর মাশুল হিসেবে সাবিনাকে তার শাস্তি ভোগ করতে হতো। একমাত্র ছেলের ভবিষ্যতের কথা ভেবে সাবিনা  সবকিছু নীরবে সহ্য করে আসছিল। কিন্তু গত মঙ্গলবার মাসুদ সহ তার পরিবার   সাবিনার উপর দিনে  দফায় দফায় নির্যাতন চালায়। অসহনীয় এ নির্যাতনে সাবিনার  মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তাক্ত জখম হয়। 

নির্যাতিতা ও তার স্বজনরা এ নির্মমতার দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করেছেন। 

এই বিষয়ে মাসুদের সাথে কথা বলতে চাইলে, তিনি, বলেন আমি কথা বলতে পারবো না, কোনো প্রকার ভিডিও বা অডিও কথা বলতে রাজি হয়নি 

পরে এই বিষয়ে গড়েয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রইছ উদ্দিন সাজু মাস্টার বলেন, এর আগে আমি স্থানীয় ভাবে বিচার করছি, কিন্ত তাতেই তারা ভালো হয়নি, এইবারে বিষয় টা আমি শুনছি, এবার মনে হয় আইনিপদক্ষেপ নিতে হবে 

সম্পর্কিত সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker