ঠাকুরগাঁও

ঠাকুরগাঁওয়ে নিখোঁজের ৫ দিন পর মিলল যুবকের অর্ধগলিত লাশ

গত মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) ঠাকুরগাঁও জেলার হরিপুর থেকে রানীশংকৈল যাওয়ার পথে অটোরিকশাসহ নিখোঁজ হন সাইফুল ইসলাম (১৫)৷ সাইফুলের সন্ধান না পেয়ে তার দাদা মুনসেফ আলী (৫৮) হরিপুর থানায় একটি জিডি করেন। 

পাচঁদিন পর পাশের উপজেলা রানীশংকৈল রামরায় দিঘির পাশে একটি ভুট্টা ক্ষেতে তার অর্ধগলিত লাশ দেখে পুলিশকে খবর দেয় স্থানীয়রা। 

আজ শনিবার (৪ মার্চ) দুপুরে রানীশংকৈল উপজেলার রামরায় দিঘির পুর্বপাশে ভুট্টা ক্ষেত থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় ওই কিশোরের অর্ধ-গলিত লাশ দেখে পুলিশকে খবর স্থানীয়রা। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে কিশোরের লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়।

নিহত ওই কিশোর হরিপুর উপজেলার ডাঙ্গিপাড়া ইউনিয়নের দামোল পাড়া গ্রামের নুর ইসলামের ছেলে। 

নিহতের পরিবার জানায়, গত মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারী) সন্ধ্যায় অটোরিক্সা নিয়ে রাণীশংকৈল যায়। এরপর থেকে সে আর বাড়ি ফিরেননি। পরিবার থেকে হরিপুর থানায় জিডি করি। আজ শুনতে পায় তার লাশ ভুট্টা ক্ষেত থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশ যদি অভিযোগটা গুরুত্ব দিতো তাহলে সাইফুলকে আজ লাশ হতে হতোনা। 

নিহতের দাদা মুনসেফ আলী বলেন “গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় অটোরিকশা নিয়ে বাইরে বের হয়ে নিখোঁজ হয় সাইফুল। আজ দুপুরে লোকমুখে জানতে পারি রামরায় দিঘির পাশে ভুট্টা ক্ষেতে এক কিশোরের মরদেহ পাওয়া গেছে। এখানে এসে নাতির লাশ শনাক্ত করি। নিখোঁজের দিন রাতেই আমি থানায় জিডি করেছি। পুলিশ বিষয়টি গুরুত্ব দেয়নি। গুরুত্ব দিলে আমার নাতিটাকে এভাবে মরতে হতোনা। এখানে পুলিশের গাফিলতি আছে। পুলিশের গাফিলতির জন্যই আমার নাতি লাশ হলো। 

রানীশংকৈল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গুলফামুল ইসলাম মণ্ডল  বলেন, “পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করেছে। 

লাশ বিকৃত হওয়ায় প্রথমে স্থানীয়রা সনাক্ত করতে পারেনি। পরে তার পরিবারের লোকজন এসে লাশের পরিচয় সনাক্ত করেন। লাশের মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্হানে ক্ষত পাওয়া গেছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে আসল রহস্য জানা যাবে।

হত‍্যাকাণ্ডের কারণ উদ্‌ঘাটনের চেষ্টা চলছে। এ ব্যাপারে থানায় মামলা হয়েছে বলে জানান ওসি।

সম্পর্কিত সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker