প্রথম মেয়াদে বাংলাদেশের কোচ থাকাকালে চন্ডিকা হাথুরুসিংহে কী এ ধরনের পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছিলেন? আপাতত বিষয়টা জানা নেই। তবে, দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব পালন করতে এসেই দারুণ এক সমস্যার মুখোমুখি অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী শ্রীলঙ্কান এই কোচ।
দলের সবচেয়ে দুই সিনিয়র ক্রিকেটার এবং তিন ফরম্যাটের দুই অধিনায়ক একে অপরের সঙ্গে কথা বলেন না। মুখ দেখাদেখি বন্ধ। দু’জনের মধ্যে যে দ্বন্দ্ব কিংবা বিরোধ লেগে আছে, তা নিরসনের জন্য বিসিবি চেষ্টা করেও পারেনি।
যদিও তামিম ইকবাল সংবাদ সম্মেলনে এসে বলেছেন, তাদের সম্পর্কের এই অবস্থা মাঠের খেলায় প্রভাব ফেলবে না। ক্রিকেটারদের সঙ্গে বিসিবি সভাপতি পাপনের বৈঠকেও বিষয়টা উঠে এসেছে এভাবে। পাপনও বলেছেন, মাঠের খেলায় প্রভাব ফেলবে না বিষয়টা।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ শুরুর আগেরদিনও সংবাদ মাধ্যমের সামনে এ বিষয়টা নিয়ে কথা বলতে হলো কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহকেও। কোথায় ম্যাচ নিয়ে নিজেদের পরিকল্পনার কথা বলবেন, প্রতিপক্ষ নিয়ে কী ভাবছেন- তা বলছেন; কিন্তু না, সব চাপিয়ে হাথুরুর সংবাদ সম্মেলনেও তামিম-সাকিবের সম্পর্কের বিষয়টা উঠে এলো। প্রশ্নের মুখোমুখি হলেন বাংলাদেশ দলের কোচ।
তবে, নিজে দীর্ঘদিন খেলা এবং অনেক দলের কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করার কারণে অনেকগুলো ড্রেসিংরুমের অভিজ্ঞতা রয়েছে চন্ডিকা হাথুরুসিংহের। সে কারণে নিজের দুই প্রিয় শিষ্যকে মিডিয়ার সামনে থেকে অনেকটা বাাঁচানোর ভঙ্গিতেই বলে উঠলেন, ‘আমি এমনও অনেক ড্রেসিং রুম দেখেছি, যেখানে অনেকেই কথা বলে না। আসলে সব হচ্ছে মাঠের পারফরম্যান্সের ব্যাপার। সেখানে যে যে যার যার দায়িত্ব এবং কর্তব্য পালন করলেই সব কিছু ঠিক হয়ে যাবে।’
হাথুরুর কাছে আরও একটি প্রশ্ন প্রসঙ্গক্রমেই চলে এলো। সেটা হচ্ছে বাংলাদেশ দলের ড্রেসিংরুমের পরিবেশ। যা নিয়ে হাথুরুসিংহে পরিস্কার কোনো কথা বলেননি। শুধু এটুকু বলেছেন, ‘সাতদিন হলো প্র্যাকটিস দেখছি। আমি এখনও অবজারভারের ভূমিকায়। এই সাতদিনে খুব বেশি কিছু বুঝে ওঠার সম্ভব হয়নি। এ কারণে এখনই মন্তব্য করা ঠিক হবে না। তবে এখনও পর্যন্ত আমার কাছে এবনরমাল কিছু মনে হয়নি।’
Discover more from MIssion 90 News
Subscribe to get the latest posts to your email.