দীর্ঘ ধরে বন্ধ থাকার পর কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ফের চালু হয়েছে সিজারিয়ান অপারেশন। আজ ১৩ই সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার থেকে কটিয়াদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মাননীয় জাতীয় সংসদ সদস্য নূর মোহাম্মদ এর অনুপ্রেরণায় কটিয়াদী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: তাজরীনা তৈয়ব নেতৃত্বে ও আন্তরিক প্রচেষ্টায় ২য় সিজারিয়ান অপারেশন সম্পন্ন হয়েছে ও এ সুবিধা চালু করা হয়েছে।
জানা যায়, উল্লেখ্য ১৯৭১ সালে ১৬ ডিসেম্বর কটিয়াদী উপজেলায় প্রতিষ্ঠিত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১ম সিজারিয়ান অপারেশন সম্পন্ন হয় ২০০৮ সালে। পরবর্তীতে বিভিন্ন জটিলতায় বন্ধ থাকে। এতে যেমন দুর্ভোগে পড়তে হয় প্রসূতিদের, তেমনি বেশিরভাগ বেসরকারি ক্লিনিকগুলোতে অ্যানেস্থেসিয়া কনসালটেন্ট ছাড়াই চলছিল সিজারিয়ান অপারেশন। এতে প্রসূতি মা ও নবজাতক শিশুর জন্য স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি রয়েই যেত। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: তাজরীনা তৈয়ব মহোদয় ২০২১ সালের নভেম্বর মাসে কটিয়াদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যোগদানের পর থেকে সিজারিয়ান অপারেশনের উদ্যোগ নেন যা আজ সফলতার সহিত সম্পন্ন হয়েছে।
সিজারিয়ান অপারেশন করেন ডা: ঈশা খান, ডা: জেরিন তাসনিম, ডা: ফারিয়া রহমান। সহযোগিতায় ছিলেন স্টাফ নার্স লিপি দেবনাথা, রাজিব হুসেন, লাকি আক্তার এবং মিডওয়াইফ নার্গিস আক্তার।
জালালপুর ইউনিয়নের চরপুক্ষিয়া গ্রামের মা ফেরদৌস জাহান এবং তোফাজ্জল হোসেন দম্পতির সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। মা ও নবজাতক শিশু উভয় সুস্থ আছেন।
সিভিল সার্জন ডা: তাজরীনা তৈয়ব বলেন,কটিয়াদী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দীর্ঘদিন অ্যানেস্থেসিয়া কনসালটেন্ট না থাকায় সিজারিয়ান অপারেশন বন্ধ ছিল। পরে আটোয়ারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত অ্যানেস্থেসিয়া কনসালটেন্টের সাথে আলোচনা করে কটিয়াদী সিজারিয়ান অপারেশন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।