কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হরহামেশাই চুরির ঘটনা ঘটছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীরা পাচ্ছেন না কোন প্রতিকার। ফলে চাপা ক্ষোভ ও চোখে পানি ঝড়াতে হচ্ছে চিকিৎসা নিতে আসার রোগীদের।
রবিবার ২১ আগস্ট দুপুরে হাসপাতাল থেকে চারজন রোগী চুরির শিকার হয়েছেন। তাদের চেইন নিয়ে গেছে চুরেরা। ভোক্তভোগীর বাড়ি, পৌর এলাকার বাগরাইট, জালালপুর। আরেকজনের পাশ্ববর্তী উপজেলার মনোহরদীর চরমান্দালিয়া গ্রামে। চুরির শিকার একজন ভোক্তভেগী নার্গিস বলেন, ‘হাসপাতালে ডাক্তার দেখানোর জন্য লাইনে দাঁড়ানোর সময় গলা থেকে চেইন চুরি হয়েছে। আমি এর বিচার চাই।’
খোঁজ নিয়ে ও সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,হাসপাতালের দক্ষিণ দিকে ব্যস্ত সড়ক। সবসময়ই এখানে যানজট লেগেই থাকে। কয়েকটি ব্যাংক, মডেল থানা, বালিকা বিদ্যালয় রয়েছে। সবসময়ই ভীড় লেগেই থাকে। এমনি ব্যস্ত সড়কের পাশে অপরিকল্পিতভাবে হাসপাতালের বুক চিড়ে করা হয়েছে গেইট। সবসময়ই এই গেইটে ঠাঁসাঠাসি থাকে রোগীদের। ফলে এই ভীড়কে সুযোগ হিসাবে নেয় চোরেরা।
অনুসন্ধান মতে, মহিলা চুরেরা উৎ পেতে থাকে সকাল থেকে। টার্গেট করে পিছু নেয় রোগীদের। অনেক সময় সংঘবদ্ধ হয়ে কৃত্রিম লাইন সৃষ্টি করে রোগীর গলা থেকে চেইন, টাকা,ব্যাগ হাতিয়ে নেয়। প্রায় সময় চুরি হচ্ছে বিষয়টি হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকার কারো অজানা নয়। এছাড়াও হাসপাতালের ভিতর বেসরকারি বিভিন্ন হাসপাতালের দালালদের উৎপাত রয়েছে। এসব দলাল সিন্ডিকেট সবসময়ই গেইটের আশপাশে অবস্থান করে থাকে।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকতা ডা: তাজরিনা তৈয়ব বলেন, বিষয়টি আমাদের জন্য বিব্রতকর। প্রায় সময় এমন চুরির সংবাদ শুনতে হচ্ছে। একজন মহিলাকে ধরে পুলিশে দিয়েছি। টিকিট কাটার লাইনে দাঁড়ানোর সময় সচেতন করছি রোগীদের। আমাদের নিরাপত্তা রক্ষী সংকট রয়েছে। দুজন নিরাপত্তা কর্মী হলে নিরাপত্তা ব্যাবস্থা আরো জোরদার করা যেত।
এ বিষয়ে কটিয়াদী মডেল থানার ওসি এসএম শাহাদাত হোসেন বলেন, সন্দেহভাজন এক মহিলাকে আটক করা হয়েছে। এখনো কারো লিখিত অভিযোগ পাই নি। তবে, পুলিশের নজরদারি বৃদ্ধি করা হবে। চুর সনাক্তে তদন্ত চলবে।’