ঠাকুরগাঁও

পীরগঞ্জে আয় বর্ধক প্রশিক্ষনে প্রার্থী বাছাইয়ে

ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের আওতায় দু’টি ট্রেডে মহিলাদের তিন মাস ব্যাপী আয় বর্ধক প্রশিক্ষনে প্রশিক্ষনার্থী বাছাইয়ে অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ উঠেছে। কর্মকর্তাকে খুশী করতে না পরায় বাদ পরেছেন গবির ও দুস্থ নারীরা।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা বলছেন, নিয়ম মেনেই প্রশিক্ষনার্থী বাছাই করা হয়েছে।উপজেলা পর্যায়ে মহিলাদের জন্য আয় বর্ধক (আইজিএ) প্রশিক্ষন (২য় সংশোধিত) প্রকল্পের আওতায় পীরগঞ্জে ফ্যাশন ডিজাইন এবং ফ্রিন্টাল শোপিচ ও ডেকোরেটেড কেন্ডেল মেকিং (মোমবাতি) ট্রেডে দুটি ব্যাচে ৫০ জন করে গরীব ও দুস্থ মহিলা প্রশিক্ষণেন জন্য অন লাইনে দরখাস্ত আহবান করা হয়। ফ্যাশন ডিজাউন ট্রেডে ১৮৭ জন এবং ফ্রিন্টাল শোপিচ ও ডেকোরেটেড কেন্ডেল মেকিং (মোমবাতি) ট্রেডে ৭৯ জন আবেদন করেন।

উভয় ট্রেডের আবেদনকারীদের মৌখিক পরীক্ষার জন্য বুধবার উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়ে ডাকা হয়। সকাল থেকে রাত সাড়ে ১০ টা পর্যন্ত চলে মৌখিক পরীক্ষা। মৌখিক পরীক্ষায় অংশ গ্রহনকারীদের অভিযোগ-পরীক্ষার শুরু থেকেই উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা জিন্নাতারা ইয়াছমিনআবেদনকারীদের সাথে অশালিন আচরন করতে থাকেন।

গঠন মুলক প্রশ্ন না করে ব্যক্তিগত বিষয়াদি জানার চেষ্টা করেন এবং তুই তুকারি ভাষা প্রয়োগ করেন। এতে কেউ প্রতিবাদ করলে বা বিরক্ত বোধ করলে তার নামের পাশে বিশেষ চিহৃ দিয়ে রাখেন এবং বের হয়ে যাও বলে চলে যেতে বলেন। আর যারা ঐ কর্মকর্তার তুই তুকারি সহ্য করে নতজান্যু হয়ে তার কথায় সায় দেন তাকে আশস্ত করে বাইরে অপেক্ষা করতে বলেন। মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার এমন আচরণে অনেকেই হতবাক হন। মৌখিক পরীক্ষা শেষে গভীর রাতে ফলাফল প্রকাশ হয়।

বৃহস্পতিবার সকালে ফলাফল তালিকা দেখে আবেদনকারীরা হতাশ হন। মৌখিক পরীক্ষার সময় যারা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার অসদাচরণের প্রতিবাদ করার চেষ্টা করেছেন বা বিব্রত হয়েছেন তারা উত্তির্নের তালিকায় নেই।

মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার এমন আচরণে অনেক গরীব মহিলা প্রশিক্ষনের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।লিসা আকতার হিরা নামে এক আবেদনকারী অভিযোগ করে জানান, তার সাথে মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা তুই, তুকারী করেছেন। প্রতিবাদ করার চেষ্টা করলে কর্মকর্তা বলেন“কেন এখানে এসেছিস ? প্রাইভেট পড়ায় খেতে পারিনা না, চলে যাও”।

তার আচরণে তিনি মর্মাহত। একজন কর্মকর্তার কাছে তিনি এ ধরণের আচরন প্রত্যাশা করেননি।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরো কয়েকজন জানান, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার আচরন ভাল না। তিনি ভাইবার সময় ভাল আচরণ করেননি।

তুচ্ছ-তাচ্ছিল্ল করেছেন।এক আবেদনকারী স্বামী জানান, তারা গরীব মানুষ। কি কারণে তার স্ত্রীকে বাদ দেওয়া হল, তা তিনি বুঝে উঠতে পারছেন না। খোজ নিয়ে জানা যায়, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা তার অফিসের অন্যান্যদের সাথেও ভাল ব্যবহার করেন না।

সিনিয়র কর্মচারীদের প্রায়ই অপমান করেন। এ নিয়ে খোদ মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার অফিসেই অসন্তোষ বিরাজ করছে। উপ-পরিচালকের অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকায় তার বিষয়ে অফিসের কেউ প্রকাশ্যে মুখ খুলতে পারছেন না।

অভিযোগ বিষয়ে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ও উপ-পরিচালকের অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা জিন্নাতারা ইয়াছমিন বলেন, তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সত্য নয়।

নিয়ম মেনেই প্রশিক্ষনার্থী বাছাই করা হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও বাছাই কমিটির সভাপতি রেজাউল করিম জানান, শুনেছি মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা কারো সুপারিশ রক্ষা করেননি। তাই অনেকেরই মন খারাপ। হয়ত এ কারণে অভিযোগ করা হচ্ছে।

Author

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments

সম্পর্কিত সংবাদ

Back to top button
0
Would love your thoughts, please comment.x
()
x

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker