গাজীপুরের কালিয়াকৈরে বৃহস্পতিবার (৫ আগস্ট) রাত থেকে ছেড়ে আসা উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলা যেমন- রাজশাহী, বগুড়া, রংপুর, কুড়িগ্রাম থেকে ছেড়ে ঢাকায় প্রবেশ করছিলো দূরপাল্লার যাত্রীবাহী বাস।করোনা ভাইরাসের মহামারী পরিস্থিতি ৩য় দাপের কঠোর লকডাউনেব সরকারের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বিভিন্নন পথে আসলেও গাজীপুরের কালিয়াকৈরে ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়কের চন্দ্রা এলাকায় প্রবেশ করলে হাইওয়ে পুলিশের তোপের মুখে পরে উত্তরবঙ্গ থেকে ছেড়ে দূরপাল্লার যাত্রীবাহী বাস গুলো শুক্রবার ও শনিবার সারাদিন ব্যাপি (৬ ও ৭ই আগস্ট) দুইদিনের অভিযানে ৭৭ টি বাস আটক করে পুলিশ।এদিকে পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে হাইওয়ে পুলিশের চেকপোস্ট অতিক্রম করতে চেষ্টা করলে তাদের কে আটক করে সালনা কোনাবাড়ি হাইওয়ে থানা পুলিশ। চন্দ্রা এলাকার বাসিন্দা ও পরিবহন ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন জানান, সারারাত অনেক গণপরিবহন চলতে দেখা গেছে। এসব গাড়ি শেষ রাতের দিকে বেশি চলাচল করে যেন সহজে পুলিশ না ধরতে পারে। ফজরের নামাজ পড়ে যাওয়ার সময়ও বাস চলাচল করতে দেখেছি।
ঢাকাগামী দিনাজপুর থেকে ছেড়ে আসা পিংকি পরিবহনের চালক কাজল বলেন, আমরা অনেক জায়গায় শুনেছি পুলিশকে ফাঁকি দিয়ে গাড়ি চলাচল করছে।অনেক গাড়ি চলাচল করে বলেই আমরা গাড়ি নিয়ে বের হয়েছি। গাড়ি চলার জন্য রাস্তায় যাকে যা দেওয়ার তাদের পাওনা দিয়ে দিয়েছি। তবুও আমাদের গাড়ি চন্দ্রা এসে আটকা পড়ে গেল।
সানোয়ার নামের এক যাত্রী জানান, রাতে বিভিন্ন ভাবে ম্যানেজ করে বাস চলাচল করে শুনেই বাড়ি থেকে বের হয়েছিলাম। রাতে পাবনা থেকে রওনা দিয়েছিলাম। চন্দ্রার পরে আর বাস চলতে দিচ্ছে না। তাই এখন অন্য উপায়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি।
পলাশবাড়ী এক্সপ্রেস পরিবহনের হেলপার ইসমাইল বলেন, লকডাউনে গনপরিবহন বন্ধ থাকা সত্ত্বেও পেটের ক্ষুধায় আমরা গাড়ি নিয়ে বের হয়েছি, শুনেছি রাস্তায় টাকা দিলে সবই হয়। রাস্তায় বিভিন্ন জায়গায় চাঁদা দিয়েই এসেছি কিন্তু এখানে আটকা পড়বো বুঝতে পারিনি।
সালনা কোনাবাড়ি হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মীর গোলাম ফারুক জানান , চলমান লকডাউনে গণপরিবহন চলাচল সম্পূর্ণ নিষেধ। বিধি নিষেধ অমান্য করে দূরপাল্লার গণপরিবহন চলাচল করলে তাদেরকে আটক করা হয়েছে । আটককৃতদের মধ্যে ৪০ টি যাত্রীবাহী বাসের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে বাকী ৩৩টির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।