সড়ক দুর্ঘটনায় মাসুদের ভালোবাসার মৃত্যু ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা ১৩নং গড়েয়া ইউনিয়ন ৬নং ওয়ার্ডের মাসুদ রোহান আজ যেনো পরিবার ছাড়া সবার কাছে বোঝা হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
মাসুদ জানান, ‘আমরা তিন ভাই বোন নেই, আমি পরিবারের বড় ছেলে হেসে খেলে সুন্দর ভবিষ্যত সামনে রেখে স্বাভাবিক জীবন যাপন করছিলাম লেখা পড়ার পাশাপাশি। সুস্থ স্বাভাবিক জীবন কতটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে এক পরিবারের জন্য আগে বুঝিনি আজ আর বুঝতে বাকী নেই। গত ২০শে মার্চ ২০১৫ সাল হতে আজ ২০শে মার্চ ২০২২ সাল পর্যন্ত ৭ বছর পুর্তি হয়। আজো ভুলতে পারিনি আর সম্ভবো নয়। আমার জীবনে স্বর্গ-নরক হয়ে দাঁড়িয়ে আছে চোখের সামনে একটি মেয়ে। জানিনা কবে কখন আমাকে আত্মহত্যা করতে বাঁধ্য করবে। আজো তার চেহারা, তার ভালোবাসা, তার হাসি, তার গায়ের সুবাস আমাকে ঘুমাতে দেয়না। দেয়না পেট ভরে খেতে। ঠিক যেমন সমুদ্রের মাঝ খানে রাখে। সে বুঝি ভালোই আছে, আর থাকবেই না বা কেনো, গত ২০মার্চ ২০১৫ইং আমি মানুষ ছিলাম তার কাছে আজ নেই। তখন টাকা ছিলো আজ নেই। আগে আমাকে ভালো লাগতো এখন আর ভালো লাগেনা। আর জানা যায়, গত ২০শে মার্চ ২০১৫ সাল দিনটি বার ছিলো শুক্রবার ১২টা সারে বারটা হবে অনুমানিক। এ সময়ে মেয়েটির সাথে দেখা করতে গিয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় শিকার হই, সেই ঘটনায় ছিন্ন ভিন্ন হই আমি।’
মাসুদ এর জীবন, পরিবার, ক্ষত বিক্ষত হয় সারা শরীর। যা এখনো স্মৃতি হয়ে আছে সারাশরীরে। সেই মেয়েকে দেখতে গিয়ে সব হারালাম আজ আমাকে তার মনে পরেনা। আমার মূল্য আর তার কাছে নাই। আমার কাছে অনেক প্রমাণ আছে। যা আমি ফেসবুক বা অন্যান্য মধ্যমে প্রকাশ করে তার ক্ষতি করতে পারতাম, সুখ নষ্ট করতে পারতাম এবং সে আমার হতে বাধ্য থাকত। সেও জানে আমার সাথে কি করেছে, কি নিয়েছে আর কি দিয়েছে। আমি এতদিন কোন ক্ষতি করিনি, আজো করবো না। এমন শিক্ষা আমার বাবা-মা আমাকে দেয়নি, যে আমি তার ক্ষতি করবো। তার বাবা-মা তাকে শিক্ষা দিয়েছে তাই আমার ক্ষতি করছে। আমি তাকে কোনো দিন ভুলতে পারব না। আমার সারা শরীরে সে বসবাস করছে। মৃত্যু ছাড়া অন্য কোনো পথ নেই ভুলার জন্য।
এই বিষয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনায় মনির জানান, ‘মাসুদ আমার কলেজ ফ্রেন্ড, আমার বিয়েতে এসে মেয়ে ও পরিবারের লোকজনের সাথে পরিচয়। তারা এক পর্যায় প্রেম বন্ধনে জড়ায়। আমার বাসার পাশের বাসায় তার বোন দুলাভাই ভাড়া থাকতেন আমার মধ্যমে ভাই বোন আত্মীয়তা, তার কয়েক মাস পরে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। ভালোবাসতো যে মেয়েটি অস্বীকার করার কিছু নেই। তার বড় বোন দুলাভাই, ভাগিনা, পাশ্ববর্তী ভাবি কম বেশি সবাই জানতেন। কিন্তুু সড়ক দুর্ঘটনায় মাসুদের জীবনে কাল হয়ে ধারায়, এখন আর সেই মেয়েটি আর মাসুদের সাথে কথা বলে না ও সম্পর্ক নেই বলে অস্বীকার করে। মাসুদের জীবনটা একটি দূর্ঘটনার কারণে তার ভালোবাসা ও জীবন টা তচ্ছনচ হয়ে গেছে।’
এলাকাবাসী দুলাল, রুবেল, সন্তুোষ, সেলিম, রতন আর অনেকেই বলে যে, মেয়ে মানুষ একটি ছেলেকে হিরো বানাতেও পারে। গাছের নিচে নামাতেও পারে। বাস্তবতা উদাহরণ মাসুদ। এলাকার সবাই জানে মেয়ে টি ভূমিকম্পের মত মাসুদের জীবনে এসেছে জীবন কে ধংশ করার জন্য। সত্য ভালোবাসলে ছেরে যেতো না মেয়েটি। সুখে দুখে পাশে থাকতো। আজ আর কোনো যোগাযোগ নেই। আমি বা আমরা মনে করি মাসুদের জীবনকে ধুলোই মিসানো জন্য মেয়ে টি দায়ি। কারো বন্ধু, ভাই, বোন, কারো সন্তান এমন যেনো কেউ ক্ষতির শিকার না হয়। এই সমাজের কাছে চাওয়া আমাদের।