ঠাকুরগাঁওয়ে বিস্কুট এর প্রলোভন দেখিয়ে এক তৃতীয় শ্রেণীর স্কুল ছাত্রীকে (০৯) ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে ৫০ বছর বয়সী ব্যক্তির বিরুদ্ধে।
গত ৩০ জানুয়ারী ভুক্তভোগী ছাত্রীর পিতা ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে ঠাকুরগাঁও সদর থানায় মামলা করেন।
মামলার ১৩ দিন অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত মামলার আসামি আটক হয়নি। বর্তমানে মামলা তুলতে হুমকি দিচ্ছে মনিরুল ইসলামের পরিবার।
ওই ছাত্রীর বাড়ি ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার গড়েয়া ইউনিয়নে। সে স্থানীয় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী।
থানায় অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আসামি গড়েয়া ইউনিয়নের উত্তর ঢাংগী পুকুর এলাকার মৃত আ: কাদের এর ছেলে মনিরুল ইসলাম (৫০)। তার একটি মুদি দোকান আছে। গত ১৩ জানুয়ারী স্কুল থেকে আসার পথে ওই দোকান থেকে স্কুল ছাত্রী ১০ টাকা দিয়ে বিস্কুট কিনতে চায়। ঐ সময় দোকানের আশেপাশে কেউ না থাকায় কৌশলে স্কুল ছাত্রীকে দোকান সংলগ্ন নিজের শয়ন ঘরে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে। মেয়ে চিৎকারের চেষ্টা করলে ঘটনা কাওকে না বলার জন্য ভয় দেখায়।
স্থানীয়রা অনেকেই বলেন, এ ধরনের ঘটনায় জড়িত মনিরুলকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া হোক। শাস্তি হলে এ রকম ঘটনা ঘটাতে কেউ সাহস পাবে না।
ওই ছাত্রী বলেন, স্কুলে আসা-যাওয়ার পথে ওই বেটার দোকান, আমরা মাঝে মধ্যে এই দোকান থেকে বিস্কুট, চকলেট কিনে খায়, ওই দিন আমাকে জোর করে তার ঘরে নিয়ে যায়। পরে কাওকে কিছু না বলার জন্য ভয় দেখায় এবং আমি আসার সময় আমার হাতে ৫টা চকলেট ও ২০ টাকা দিয়ে তার সাথে মাঝেমাঝে দেখা করতে বলে। আমি এর বিচার চাই।
ছাত্রীর বাবা বলেন, আমার মেয়ের সঙ্গে মনিরুল খুব খারাপ কাজ করছে আমি ভ্যান চালিয়ে খাই, আমি স্থানীয় এলাকাবাসীর কাছে বিচার চেয়েছিলাম কিন্তু কেউ বিচার করে নাই। তাই আমি মামলা করেছি।
ঠাকুরগাঁও সদর থানার পুলিশ কর্মকর্তা (এসআই) বিদুৎ বলেন, এই ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। মামলার আসামি মনিরুল পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।