খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্য মুহাম্মদ মাছুদের পদত্যাগের এক দফা দাবি জানিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) দুপুর পৌনে ২টায় কুয়েট স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার সেন্টারে এক প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে এই ঘোষণা দেন তারা।একজন শিক্ষার্থী লিখিত বিবৃতি পাঠ করে শোনান।
তাতে বলা হয়, “যেহেতু উপাচার্য শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছেন, যেহেতু তিনি ব্যর্থতার দায় নিতে অস্বীকার করেছেন, যেহেতু তিনি ইন্টারনেট ও পানিসংযোগ বিচ্ছিন্ন করে শিক্ষার্থীদের হল থেকে বের করে দিয়েছেন, যেহেতু আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়ার জন্য ইন্ধন জুগিয়েছেন, যেহেতু তিনি শিক্ষার্থীদের বহিষ্কার করেছেন— সেহেতু আমরা ছয় দফা দাবি থেকে সরে এসে এক দফা দাবি জানাচ্ছি : বর্তমান উপাচার্য মুহাম্মদ মাছুদের অপসারণই এখন আমাদের একমাত্র দাবি।ঘোষণায় আরো বলা হয়, “আমরা নতুন উপাচার্যের অধীনে একটি নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠনের দাবি জানাচ্ছি, যেটি পুরো ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করবে।”
ঘোষণার পরপরই শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন আবাসিক হলের তালা খুলে ভেতরে প্রবেশ করার ঘোষণা দেন। প্রথমে তাঁরা মিছিল নিয়ে যান খান জাহান আলী হলের সামনে, যেখানে প্রধান ফটকের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করেন। এরপর একে একে অন্য হলগুলোর তালাও ভেঙে ফেলা হয় বলে জানা গেছে।
যদিও শিক্ষার্থীদের এক দফা দাবির পরিপ্রেক্ষিতে পরিস্থিতি আরো জটিল হয়ে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এখনো উত্তেজনা বিরাজ করছে।
শিক্ষার্থীরা আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন এবং পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিয়েছেন, বর্তমান উপাচার্য পদত্যাগ না করা পর্যন্ত তারা অবস্থান ছাড়বেন না।
একজন শিক্ষার্থী বলেন, হলে হলে তালা ভেঙে ঢুকতেছি আমরা। রাস্তায় রক্ত দেওয়া লোক আমরা, সেখানে শুয়ে কেন থাকব? কুয়েট ভিসি মাস্ট স্টেপ ডাউন। মামলা-হামলা-বহিষ্কার করে দমানো যাবে না।