অর্থনীতি

রিজার্ভ বেড়ে সাড়ে ২৭ বিলিয়ন ডলার

দেশে বৈদেশিক মুদ্রায় গঠিত বিভিন্ন তহবিলসহ মোট রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৭ দশমিক ৪১ বিলিয়ন ডলার বা ২,৭৪১ কোটি ১৫ লাখ ৭০ হাজার ডলার। একই সময়ে নিট বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২২ বিলিয়ন ডলার (বিপিএম৬) অতিক্রম করেছে। এই রিজার্ভ আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)-এর হিসাবায়ন পদ্ধতি অনুসারে নির্ধারিত। বুধবার (৩০ এপ্রিল) বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্রের দপ্তর এ তথ্য জানিয়েছে।

এর আগে ৯ মার্চ আকুর বিল পরিশোধের পর দেশের বৈদেশিক মুদ্রার মোট রিজার্ভ ২৫ বিলিয়ন ডলারে নেমে আসে। নিট রিজার্ভ নেমে দাঁড়ায় ১৯ দশমিক ৭০ বিলিয়ন ডলারে। এরপর রমজান মাসে প্রবাসী আয় প্রবাহ এবং রপ্তানি আয় বৃদ্ধির কারণে মোট রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়ায় ২৬ দশমিক ৭৩ বিলিয়ন ডলার। সর্বশেষ এপ্রিল মাসেও প্রবাসী আয় বৃদ্ধির ফলে মোট রিজার্ভ ২৭ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করে। পাশাপাশি নিট রিজার্ভও ২২ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যায়।

এই মোট রিজার্ভ থেকে স্বল্পমেয়াদি বা রিজার্ভের অর্থ দিয়ে গঠিত বিভিন্ন তহবিলের অর্থ বাদ দিয়ে নিট বা প্রকৃত রিজার্ভের পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়। এর বাইরেও বাংলাদেশ ব্যাংক আরেকটি রিজার্ভের হিসাব করে থাকে, যেটি হলো ‘ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ’। এই ব্যয়যোগ্য রিজার্ভের পরিমাণ আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করে না বাংলাদেশ ব্যাংক। আইএমএফের এসডিআর খাতে থাকা ডলার এবং পাইপলাইনে থাকা আকুর বিল বাদ দিয়ে ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভের হিসাব করা হয়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সেই হিসাবে দেশের ব্যয়যোগ্য প্রকৃত রিজার্ভ এখন প্রায় ১৬ বিলিয়ন ডলার। প্রতি মাসে ৫ বিলিয়ন ডলার হিসেবে এই রিজার্ভ দিয়ে তিন মাসের বেশি সময়ের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব। সাধারণত একটি দেশের ন্যূনতম তিন মাসের আমদানি খরচের সমান রিজার্ভ থাকা প্রয়োজন। সে হিসেবে বর্তমানে প্রয়োজনের তুলনায় বেশি বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ রয়েছে।

২০২২ সালের পর থেকে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ যে হারে কমে আসছিল, সর্বশেষ সেই হ্রাস রোধ করা সম্ভব হয়েছে বলে মনে করেন গবেষণা প্রতিষ্ঠান পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান মাসরুর রিয়াজ। তারই ফলাফল এই রিজার্ভ বৃদ্ধি। যদিও করোনাভাইরাস মহামারির আগের সময়ের অবস্থায় এখনো ফিরে আসা সম্ভব হয়নি।

তিনি বলেন, প্রবাসী আয়ে বড় উল্লম্ফন, রপ্তানি আয় বৃদ্ধি অব্যাহত থাকা এবং আমদানি ব্যয় নিয়ন্ত্রণে রাখার ফলে রিজার্ভ ইতিবাচক ধারায় ফিরেছে। এ অবস্থায় সুদের বর্তমান হার আরও কিছুদিন বজায় রাখা প্রয়োজন, যাতে বেসরকারি ঋণের চাহিদা না বাড়ে এবং আমদানি ব্যয় নিয়ন্ত্রিত থাকে। তাহলেই বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ইতিবাচক ধারায় রাখা সম্ভব হবে।

Author

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments

সম্পর্কিত সংবাদ

Back to top button
0
Would love your thoughts, please comment.x
()
x

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker