কাতারে ২০২২ বিশ্বকাপ ফাইনালে টাইব্রেকারে ফ্রান্সকে হারিয়ে তৃতীয়বারের মত ফুটবলে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়েছে আর্জেন্টিনা।
মাঠের ১২০ মিনিটের খেলা ৩-৩ গোলে শেষ হওয়ার পর টাইব্রেকারে ৪-২ গোলে ম্যাচ জিতেছে দক্ষিণ আমেরিকানরা, যেখানে গঞ্জালো মন্টিয়েল জয়সূচক পেনাল্টি শটটি নেন।
নির্ধারিত ৯০ মিনিট ও তার পর অতিরিক্ত ৩০ মিনিটের খেলায় আর্জেন্টিনার হয়ে দুই গোল করেন লিওনেল মেসি ও একটি গোল করেন ডি মারিয়া। অন্যদিকে ১৯৬৬ সালে ইংল্যান্ডের জিওফ হার্স্টের পর প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে বিশ্বকাপ ফাইনালে হ্যাটট্রিক করেন ফ্রান্সের কিলিয়ান এমবাপে।
লুসাইল স্টেডিয়ামে শেষ পর্যন্ত বিজয়ী হয় আর্জেন্টিনা। অধিনায়ক মেসির হাতে ওঠে বিশ্বকাপ শিরোপা।
অবিস্মরণীয় ফাইনাল ম্যাচের গল্প এখানে তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে দিনের সেরা ছবিগুলোর মাধ্যমে…
ছবির উৎস,GETTY IMAGES
ছবির ক্যাপশান,এক মাসের কম সময়ে ৬৩টি খেলার পর লুসাইল স্টেডিয়ামে ২০২২ বিশ্বকাপ ফাইনাল শুরু হয় সমাপনী অনুষ্ঠানের কিছুক্ষণ পর
ছবির উৎস,GETTY IMAGES
ছবির ক্যাপশান,শুরু থেকে দাপটের সাথে খেলা আর্জেন্টিনা ২৩ মিনিটে পেনাল্টি পায় যখন উসমান ডেম্বেলে বক্সের মধ্যে ডি মারিয়াকে ফাউল করেন। পেনাল্টি থেকে গোল করে মেসি এগিয়ে নেন আর্জেন্টিনাকে
ছবির উৎস,GETTY IMAGES
ছবির ক্যাপশান,সাতষট্টি মিনিট পর্যন্ত একটি শটও নিতে না পারা কিলিয়ান এমবাপে পেনাল্টি থেকে ফ্রান্সকে এগিয়ে নেন, নিকোলাস ওটামেন্ডি র্যান্ডাল কোলো মুয়ানিকে ফাউল করায় এই পেনাল্টি দেন রেফারি।
ছবির উৎস,GETTY IMAGES
ছবির ক্যাপশান,প্রথম গোলের ৯৭ সেকেন্ডের মধ্যে এমবাপে আবারো গোল করেন, ভলিতে পরাস্ত করেন আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক এমি মার্টিনেজকে। ফ্রান্সের ম্যাচে ফেরার আশা পরিণত হয় উল্লাসে।
ছবির উৎস,GETTY IMAGES
ছবির ক্যাপশান,অতিরিক্ত সময়ে মেসির দ্বিতীয় গোল। এই পর্যায়ে আবারো মনে হচ্ছিল যে আর্জেন্টিনা নিশ্চিতভাবেই জিততে যাচ্ছে। লাউতারো মার্টিনেজের শট গোলরক্ষক লরিস ঠেকিয়ে দেয়ার পরই মেসির ফিরতি শট, জুলস কুন্ডে সেটি ঠেকিয়ে দিলেও ততক্ষণে বল গোললাইন অতিক্রম করেছে।
ছবির উৎস,GETTY IMAGES
ছবির ক্যাপশান,তবে ফ্রান্স আর এমবাপে তখনও হাল ছাড়েনি। পেনাল্টি থেকে হ্যাটট্রিক পূরণ করেন এমবাপে। ফ্রান্স ৩-৩ সমতায় ফেরে।
ছবির উৎস,GETTY IMAGES
ছবির ক্যাপশান,ছাপ্পান্ন বছরে প্রথম পুরুষ খেলোয়াড় হিসেবে বিশ্বকাপ ফাইনালে হ্যাটট্রিক করলেন এমবাপে।
ছবির উৎস,REUTERS
ছবির ক্যাপশান,অতিরিক্ত সময়ের শেষ মিনিটে কোলো মুয়ানির শট ঠেকিয়ে আর্জেন্টিনাকে ম্যাচে ধরে রাখেন এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে।
ছবির উৎস,GETTY IMAGES
ছবির ক্যাপশান,এমবাপে ও মেসি দুই দলের হয়ে প্রথম পেনাল্টি নেন। দুটি থেকেই গোল হয়। ১-১ এর সমতায় থাকা অবস্থায় ফ্রান্সের কিংসলে কোমানের শট ঠেকিয়ে দেন ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে অ্যাস্টন ভিলায় খেলা গোলরক্ষক এমি মার্টিনেজ।
ছবির উৎস,GETTY IMAGES
ছবির ক্যাপশান,ফ্রান্সের হয়ে তৃতীয় পেনাল্টি নিতে আসা অরেলিয়ে শুয়ামেনির পেনাল্টি পোস্টের বাইরে দিয়ে চলে যায়।
ছবির উৎস,GETTY IMAGES
ছবির ক্যাপশান,নব্বই মিনিটে বদলি হিসেবে নামা গঞ্জালো মার্টিনেলি নেন আর্জেন্টিনার চতুর্থ পেনাল্টি, যেটি থেকে গোল করে জয় নিশ্চিত করে মেসির দল।
ছবির উৎস,GETTY IMAGES
ছবির ক্যাপশান,জয়সূচক পেনাল্টি থেকে গোল করার পর আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে জার্সি দিয়ে মুখ ঢেকে ফেলেন মার্টিনেলি। তার সতীর্থরা ছুটে আসেন তাকে অভিনন্দন জানাতে।
ছবির উৎস,GETTY IMAGES
ছবির ক্যাপশান,টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়, গোল্ডেন বল, দেয়া হয় মেসিকে। তবে তার দৃষ্টি ছিল আরেকটি বিশেষ সোনালী ট্রফির দিকে।
ছবির উৎস,GETTY IMAGES
ছবির ক্যাপশান,১৯৭৮ আর ১৯৮৬ এর পর আর্জেন্টিনার তৃতীয় বিশ্বকাপ শিরোপা এলো ১৯৮৬ বিশ্বকাপের নায়ক ডিয়েগো ম্যারাডোনার মৃত্যুর দুই বছর পর।
ছবির উৎস,GETTY IMAGES
ছবির ক্যাপশান,রবিবার রাতে মেসিই হয়তো ছিলেন বিশ্বের সবচেয়ে খুশি ব্যক্তি।