ফুটবলের ইতিহাসের পাতায় লিওনেল মেসি মানেই বিশ্বরেকর্ড। একের পর এক রেকর্ডে নাম লেখাচ্ছেন ফুটবলের এই রাজপুত্র। মরুর বুকে প্রথম বিশ্বকাপে প্রথম সেমিফাইনালে ক্রোয়েশিয়াকে ৩-০ গোলে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে আর্জেন্টিনা। দলের ফাইনাল নিশ্চিতের দিনে একাধিক রেকর্ডের পাতায় নাম লিখিয়েছেন মেসি।
আর্জেন্টিনার হয়ে বিশ্বকাপে এর আগে সর্বোচ্চ ১০ গোল ছিল গ্যাব্রিয়েল বাতিস্তুতার। এতোদিন ধরে এই স্ট্রাইকারই সর্বোচ্চ গোলে রাজত্ব করেছিলেন। তার সেই রেকর্ড এবার টপকে নিজের করে নিলেন আর্জেন্টাইন তারকা লিওনেল মেসি। শেষ ষোলো ও কোয়ার্টার ফাইনালে অস্ট্রেলিয়া এবং নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে একটি করে গোল ম্যারাডোনাকে ছাড়িয়ে গ্যাব্রিয়েল বাতিস্তুতার ১০ গোলের রেকর্ড স্পর্শ করেছিলেন।
এবার সেমিফাইনালে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে ম্যাচের প্রথম গোল করে আর্জেন্টিনার হয়ে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ডে সবাইকে ছাড়িয়ে গেলেন তিনি। অন্যদিকে বাতিস্তুতা বিশ্বকাপে প্রথম গোল পান ১৯৯৪ সালে। সেই আসরে ৪ গোল করেছিলেন তিনি। ১৯৯৮ আসরে করেন ৫ গোল। নিজের তৃতীয় এবং শেষ বিশ্বকাপ ২০০২ আসরে একটি গোল পান বাতিস্তুতা।
বিশ্বকাপের মঞ্চে সর্বোচ্চ ২৫ ম্যাচ খেলার রেকর্ড এতোদিন শুধুমাত্র জার্মানির বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক লোথার ম্যাথাউসের ছিল। ১৯৮২ থেকে ১৯৯৮ পর্যন্ত প্রতিটি বিশ্বকাপে জার্মানদের হয়ে খেলেছেন লোথার। এবার কাতার বিশ্বকাপের প্রথম সেমিফাইনালে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে মাঠে নেমেই তাকে স্পর্শ করেন মেসি।
শুধু ম্যাচে খেলা নয়, অধিনায়ক হিসেবেও সর্বোচ্চ ১৯টি ম্যাচ খেলার রেকর্ড গড়লেন তিনি। এর আগে মেক্সিকোর রাফায়েল মার্কুয়েজের সঙ্গে ১৮টি ম্যাচ খেলে যৌথভাবে শীর্ষে ছিলেন। আর ফাইনালে খেললেই বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার রেকর্ডের মালিক হবেন সাতবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী ফুটবলার মেসি।
আর্জেন্টাইন অধিনায়ক বিশ্বমঞ্চে এখন পর্যন্ত ২ হাজার ১৯৪ মিনিট খেলেছেন। আর বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি ২ হাজার ২১৭ মিনিট খেলার রেকর্ড কিংবদন্তি ইতালিয় ডিফেন্ডার এবং এসি মিলান আইকন পাওলো মালদিনির। কাতার বিশ্বকাপের ফাইনালে মেসির সামনে সুযোগ থাকছে তাদেরকে ছাড়িয়ে যাওয়ার।
আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হলে মেসি জার্মান ফুটবলার ক্লোজের আরেকটি কীর্তিতে ভাগ বসাবেন। ক্লোজ বিশ্বকাপে ১৭টি ম্যাচ জিতেছে, আর মেসি এখন পর্যন্ত জিতেছেন ১৬টি ম্যাচ।
