ফুটবল

ফুটবল বিশ্ব মঞ্চের নীরব নায়ক যারা

মরুর বুকে প্রথম ফুটবল বিশ্বকাপে আলো ছড়াচ্ছেন সাতবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী লিওনেল মেসি, ফ্রান্সের গতিময় ফুটবলার কিলিয়ান এমবাপ্পে, অলিভার জেরার্ড, ইউসেফ আন নেসেরির মতো তারকারা। তবে চুপিসারে দলের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন বিশ্বমঞ্চের নীরব নায়করা।

ফুটবল খেলায় জয় পেতে গোলের বিকল্প নেই। আর গোলপোস্ট অক্ষত রেখেই দলের জয়ের নায়ক তারা। এমিলিয়ানো মার্টিনেস, ডোমিনিক লিভাকোভিচ, ব্রুনোরা অনেকটা নীরবের সেই কাজ করে যাচ্ছেন। খাদের কিনারা থেকে বারবার দলকে উদ্ধার করেছেন। শেষ চারে দলের জায়গা করে নেওয়ার পিছনে তাদের অবদান কোনো অংশে কম নয়। আর ফুটবল বিশ্বকাপের ২২তম আসরের নীরব নায়ক তারাই!

ক্রোয়েশিয়া গোলবার অক্ষত রাখার একক দায়িত্বে ২৭ বছর বয়সী লিভাকোভিচ। শেষ ষোলো ও কোয়ার্টারের দুই ধাপেই টাইব্রেকারে জয় পেয়েছে ক্রোয়েশিয়া। আর এই দুই জয়ের নায়ক লিভাকোভিচ। নক-আউটে জাপানের তিনটি পেনাল্টি শট রুখে দিয়েছেন তিনি। আর এতেই শেষ আটে জায়গা করে নেয় ক্রোয়াটরা। আর সেলেসাওদের বিপক্ষে দলের জয়ের নায়ক তিনিই। ম্যাচের অতিরিক্ত সময়সহ মোট ১২০ মিনিটে ১৩টি শট রুখে দিয়েছেন এই গোলরক্ষক।

সেমিফাইনালে ক্রোয়েশিয়ার প্রতিপক্ষ আর্জেন্টিনা। আর বিশ্বমঞ্চে লে আলবেসেলিস্তাদের প্রতিটি জয়ে অনবদ্য অবদান রেখেছেন আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেস। রয়েছেন দারুণ ছন্দে। শেষ আটে দুই পেনাল্টি রুখে দিয়ে দলকে সেমিতে তুলতে কার্যকরী অবদান রেখেছেন ৩০ বছর বয়সী এই গোলরক্ষক। আর তাই সেমি ফাইনালে ফুটবলপ্রেমীদের আলাদা নজরে থাকবেন এই দুই গোলরক্ষক।

অন্যদিকে চমক দিয়ে ৯২ বছরের ইতিহাস ভেঙে শেষ চারে জায়গা করে নিয়েছে মরক্কো। আটলান্টিক মহাসাগর ও ভূমধ্যসাগরের কোণঘেঁষা দেশটিকে এতদূর টেনে নেওয়ার পেছনের নীরব নায়ক দলটির গোলরক্ষক বুনো। কারণ, গ্রুপ পর্ব থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত মাত্র একটি গোল হজম করেছেন তিনি। আর নক-আউটে টাইব্রেকারে সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়ন স্পেনের তিনটি শটই রুখে দিয়েছিলেন ৩১ বছর বয়সী এই সেভিয়া গোলরক্ষক।

Author

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments

সম্পর্কিত সংবাদ

Back to top button
0
Would love your thoughts, please comment.x
()
x

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker