মঞ্চটা নিজেদের বলেই হাতের তালুর মতোই চেনা ছিল রিয়াল মাদ্রিদের। তবে চেনা মঞ্চে আজ নিজেদের রূপকথা লিখতে পারেনি তারা। এর আগে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে অনেকবারই কামব্যাকের ইতিহাস লিখলেও এবার নায়োকোচিত হাসি নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারেননি লুকা মদরিচ-ভিনিসিয়ুস জুনিয়ররা। রিয়ালের মঞ্চেই শেষ হাসি হেসেছেন বুকায়ো সাকা-গ্যাব্রিয়েল মার্তিনেলিরা।
২৩ মিনিটে এবার আর্সেনালের বিপক্ষে পেনাল্টির বাঁশি বাজান ফ্রান্সের রেফারি। বক্সের মধ্যে এমবাপ্পেকে ফেলে দেন প্রথম লেগের জোড়া গোলের নায়ক ডেকলাইন রাইস। রেফারি সঙ্গে সঙ্গে রাইসকে হলুদ কার্ড দেখালেও ভিএআরে দুটি সিদ্ধান্তই বদলান লেটেক্সি। বিরতিতে যাওয়ার আগে যোগ করা সময়ের পঞ্চম মিনিটে আরেকটা দারুণ সেভ দেন কোর্তোয়া, আর্সেনালের উইঙ্গার গ্যাব্রিয়েল মার্তিনেলির শট প্রতিহত করে।
৫৭ মিনিটে গোলের দেখা প্রায় পেয়েই গিয়েছিল রিয়াল। তবে রদ্রিগোর নেওয়া কর্নার সরাসরি জালে জড়ানোর আগেই পাঞ্চ করে আর্সেনালকে গোল হজম করা থেকে বাঁচান গোলরক্ষক ডেভিড রায়া। ৬৫ মিনিটে ভুলের প্রায়শ্চিত করেন সাকা। মোরেনোর পাস ধরে কোর্তোয়াকে ফাঁকি দেন ইংল্যান্ডের স্ট্রাইকার।
এতে দুই লেগ মিলিয়ে ৪-০ গোলে পিছিয়ে পড়া রিয়ালের কামব্যাকের আশা যেন ক্ষীণ হয়ে আসে। এমন সময়ই লস বø্যাঙ্কোসদের ঘুরে দাঁড়ানোর দারুণ এক সুযোগ করে দেন আর্সেনালের ডিফেন্ডার উইলিয়াম সালিবা।৬৭ মিনিটে গোলরক্ষক রায়ার বাড়ানো বল সালিবা নিয়ন্ত্রনে নিয়ে সতীর্থকে পাস দেওয়ার আগে পেছন থেকে দৌড়ে এসে পাখির মতো বল ছিনিয়ে নেন ভিনিসিয়ুস। তারপর মুহূর্তের মধ্যে গানারদের জালে বল জড়িয়ে দেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড।
ম্যাচে সমতায় ফিরলেও প্রতিপক্ষের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে পারেনি রিয়াল। উল্টো ৮১ মিনিটে মার্টিন ওডেগার্ড গোলবারে বল রাখতে পারলে ২-১ ব্যবধানের লিড পেত আর্সেনাল। শেষ দিকে অবশ্য দুটি সুযোগ পেয়েছিল রিয়াল। তবে ৯০ মিনিটে ব্রাহিম দিয়াজের শট আটকিয়ে দেন গানারদের গোলরক্ষক রায়া।
ফিরতি মিনিটে এনদ্রিক গোলে রাখতে পারলেও ব্যবধান কমত। রিয়ালের ফরোয়ার্ড যখন সুযোগ হাতছাড়া করলেও আর্সেনালের মার্তিনেলি ভুল করেননি। যোগ করা সময়ের ৩ মিনিটে ম্যাচের শেষটা টানলেন দারুণ এক ফিনিশিংয়ে। এতে ২-১ গোলে হেরে চ্যাম্পিয়নস লিগ থেকে বিদায় নিশ্চিত হয় ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের।
কোয়ার্টার ফাইনালের আরেক ম্যাচে বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে ঘরে মাঠ সান সিরোতে ২-২ গোলে ড্র করেছে ইন্টার মিলান। দি¦তীয় লেগের ড্রয়ে দুই লেগ মিলিয়ে ৪-৩ ব্যবধানে জিতে সেমিফাইনালে উঠেছে ইন্টার মিলান। মিলানের হয়ে গোল দুটি করেন লাউতারো মার্তিনেজ ও বেঞ্জামিন পাভার্ড। আর বায়ার্নের হয়ে করেন হ্যারি কেইন ও এরিক ডিয়েরার।