ক্রিকেট

সিরিজ বাঁচাতে পারবে তো বাংলাদেশ

শারজায় বাংলাদেশ দলের তিন স্পিনারকে নিয়ে তিনি বৈঠকে বসলেন পরে। এর আগে অনুশীলনে ব্যাটিং বিভাগের চলমান দুরবস্থায় স্পিন বোলিং কোচও নিজের ভূমিকা বদলাতে বাধ্য হলেন। মুশতাক আহমেদ খেলা ছেড়েছেন ১৬ বছর আগে। অথচ গতকাল নেটে পাকিস্তানের সাবেক এই লেগ স্পিনারকে খেলতেই গলদঘর্ম অবস্থা হলো মাহমুদ উল্লাহর।

তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে আফগানিস্তানের স্পিনারদের সামনে অসহায় ছিলেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা। দলের সিনিয়রদের একজন হয়েও রশিদ খানের গুগলি পড়তে ব্যর্থ হয়ে মাত্র ২ রান করে বোল্ড হন মাহমুদ। দ্বিতীয় ওয়ানডের আগে অনুশীলনেও স্পিনের বিপক্ষে তাঁকে ভুগতে দেখে বল রেখে ব্যাটিং কোচের ভূমিকা নিলেন মুশতাক। সিরিজ বাঁচাতে আজ জিততেই হবে বাংলাদেশ দলকে।এ জন্য ব্যর্থতার বৃত্তে আটকে যাওয়া ব্যাটিং বিভাগের এগিয়ে এসে দায়িত্ব নেওয়ার কোনো বিকল্পও নেই।

গতকাল দলীয় অনুশীলন শেষে অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজের কণ্ঠেও সিরিজ বাঁচানোর আকুতি শোনা গেল, ‘আমাদের এখনো সুযোগ আছে। একটি ম্যাচ হেরেছি, এখনো দুটি ম্যাচ আছে। সুতরাং পরবর্তী ম্যাচটি আমাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ, যেহেতু আমরা পিছিয়ে আছি।

অন্য দুই সংস্করণের তুলনায় ওয়ানডেতে নিজেদের সামর্থ্যবান বলে দাবি করেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। একই সুর শোনা যায় টিম ম্যানেজমেন্টের সদস্য থেকে শুরু করে ক্রিকেট বোর্ডের কর্তাদের মুখেও। এই সংস্করণে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ১৭টি ম্যাচের মধ্যে ১০টি জেতায় সেই দাবির পক্ষে যথেষ্ট যুক্তি থাকলেও প্রথম ওয়ানডেতে ৯২ রানের হার নাজমুল হোসেনদের সামর্থ্য নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। যেখানে আবার প্রতিপক্ষের থেকে র‌্যাংকিংয়েও পিছিয়ে বাংলাদেশ। তবে এসব আমলে নিতে চাইলেন না মিরাজ, ‘আফগানিস্তানের সঙ্গে এর আগে তো আমরা অনেক জিতেছি

ব্যাপারটি এমন না যে আমরা ওদের কাছে একটি ম্যাচ হেরেছি বলে আমাদের সব চলে গেছে। এ রকম কোনো কিছু না।’

প্রথম ওয়ানডেতে শারজায় উইকেট বুঝতে গোলকধাঁধায় পড়েছিল বাংলাদেশ দল। হারার পর এখন উইকেট নিয়েও ধারণা স্বচ্ছ হয়েছে বলে জানালেন মিরাজ। তবে বিপদ বাড়িয়েছে মুশফিকুর রহিমের চোট। অভিজ্ঞ এই উইকেটরক্ষক-ব্যাটার সেই ম্যাচে পাওয়া আঙুলের চোটে সিরিজ থেকেই ছিটকে গেছেন। ফলে আজ একাদশে নিশ্চিতভাবেই পরিবর্তন আনতে হচ্ছে নাজমুলদের। কিন্তু হাতে বিকল্পও খুব বেশি নেই। নাসুম আহমেদ ও নাহিদ রানা ভিসা জটিলতা কাটিয়ে দলের সঙ্গে যোগ দিলেও তাঁরা দুজনই বোলার। আগের ম্যাচে বোলাররা ভালো করায় নাসুম-নাহিদের চট করে একাদশে ঢুকে পড়ার সুযোগ নেই। বাকি রইল জাকির হাসান ও জাকের আলী। লিটন দাস না থাকায় একজন উইকেটরক্ষককে খেলাতেই হবে সফরকারীদের। যদিও জাকির-জাকের দুজনেরই সেই অভিজ্ঞতা আছে, তবে মিডল অর্ডার ব্যাটার হিসেবে জাকেরের পাল্লাই ভারী।

সে হিসাবে বলাই যায়, টি-টোয়েন্টি ও টেস্টের পর এবার ওয়ানডেতেও বাংলাদেশ দলে অভিষেক হচ্ছে জাকেরের। মিরাজও তেমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন, ‘জাকের আলীর জন্য শুভ কামনা। ওর ভালো একটা সুযোগ আসছে। ও যদি শতভাগ দিতে পারে, অবশ্যই ওর নিজের ক্যারিয়ারের জন্য ভালো, দেশের জন্যও ভালো হবে।’

আজ সিরিজ বাঁচানোর লড়াইয়ে সুযোগ পেলে জাকেরকে যেমন শতভাগ দিতে হবে, তেমনি অন্য ব্যাটারদেরও ঘুরে দাঁড়াতে হবে। রশিদের সঙ্গে আল্লাহ মোহাম্মদ গাজানফারের স্পিন চ্যালেঞ্জ জয় করে সিরিজ বাঁচাতে পারবেন তো মাহমুদ-নাজমুলরা?

Author

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments

সম্পর্কিত সংবাদ

Back to top button
0
Would love your thoughts, please comment.x
()
x

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker