দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তনে রেকর্ড গড়ল বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কার মাটিতে প্রথম টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়

সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচের পারফরম্যান্স

কলম্বোর প্রেমাদাসা আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে সিরিজ নির্ধারণী এই ম্যাচে টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন লঙ্কান অধিনায়ক চারিথ আসালাঙ্কা। শ্রীলঙ্কান ব্যাটারদের সামনে সাক্ষাৎ দুঃস্বপ্ন হয়ে দাঁড়ান সিরিজে প্রথমবারের মতো সুযোগ পাওয়া শেখ মেহেদী হাসান। তিনি ৪ ওভারে মাত্র ১১ রান দিয়ে ১ মেডেনসহ ৪টি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট তুলে নেন। টাইগার পেসার শরিফুল ইসলাম তার প্রথম ওভারেই কুশল মেন্ডিসকে প্যাভিলিয়নে ফিরিয়ে প্রথম ধাক্কা দেন।

শ্রীলঙ্কার হয়ে একমাত্র প্রতিরোধ গড়েন ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কা, যিনি ৩৯ বলে ৪৬ রানের ইনিংস খেলেন। শেষদিকে দাসুন শানাকা ২৫ বলে ৩৫ রান করে অপরাজিত থাকেন, ইনিংসের শেষ ওভারে শরিফুলকে দুটি ছক্কা ও দুটি চারে তুলোধুনো করে শ্রীলঙ্কাকে লড়াইয়ের মতো ১৩২ রানের সংগ্রহ এনে দেন। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৩২ রান করতে সক্ষম হয় শ্রীলঙ্কা।

বাংলাদেশের রোমাঞ্চকর জয়

১৩৩ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ইনিংসের প্রথম বলেই উইকেট হারায় বাংলাদেশ। গোল্ডেন ডাক খেয়ে সাজঘরে ফেরেন পারভেজ হোসেন ইমন, যা টাইগারদের শুরুতেই বিপাকে ফেলে। তবে, তিনে নেমে সেই বিপদ সামাল দেন গত ম্যাচের নায়ক লিটন দাস।

রানের খাতা খোলার আগেই উইকেট হারানো বাংলাদেশকে টেনে তোলেন লিটন দাস ও তানজিদ তামিম। লিটন দাস ২৬ বলে ৩২ রান করে কামিন্ডু মেন্ডিসের বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন, তবে তখন বাংলাদেশের রান ৮ ওভার ৩ বলে ৭৪। এরপর ক্রিজে আসেন তৌহিদ হৃদয়। তার সঙ্গে মিলেই বাংলাদেশের বাকি কাজটা সেরে ফেলেন দুর্দান্ত ফর্মে থাকা তানজিদ তামিম। তিনি ৪৭ বলে ৭৩ রান করে অপরাজিত থেকে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন। অন্যদিকে, তৌহিদ হৃদয় ২৫ বলে ২৭ রান করে অপরাজিত থাকেন।

এই জয়ের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টিতে এক ঐতিহাসিক মাইলফলক অর্জন করল।