পূজার কারণে মোহনবাগান আজকের হোম ম্যাচটা কলকাতায় না খেলে ফিরতি লেগ আগে খেলে ফেলতে চেয়েছিল বসুন্ধরা কিংসের মাঠে। কিংস তাতে রাজি না হওয়ায় ম্যাচটি ভুবনেশ্বরে নিয়ে যেতে হয়েছে মোহনবাগানকে। সেই ম্যাচ খেলতে কিংসকে নানা বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে যেতে হয়েছে ভারত। ভিসাপ্রাপ্তিতে বিলম্বের কারণে ‘ওঠ ছুঁড়ি তোর বিয়ে’র মতো গতকাল ভুবনেশ্বরে পৌঁছেছে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নরা।
ম্যাচের অন্তত ৪৮ ঘণ্টা আগে ভুবনেশ্বরে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল বসুন্ধরা কিংসের। কিন্তু ম্যাচের আগের দিন, গতকাল ভোরের ফ্লাইটে কলকাতায়, সেখান থেকে আরেক ফ্লাইটে দুপুরে পৌঁছেছে ভুবনেশ্বরে। দুই দিন ধরে ভিসা পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তায় মানসিক ধকল এবং গতকালের এই ভ্রমণক্লান্তিতে কোচ অস্কার ব্রুজোন শেষ পর্যন্ত ম্যাচ ভেন্যুতে বিকেলের একমাত্র অনুশীলন সেশনটিও বাদ দিতে বাধ্য হয়েছেন। এ সব কিছুই মোহনবাগানের পক্ষে যাবে, গতকাল ভুবনেশ্বরে সংবাদ সম্মেলনে সেটা বলেছেনও তিনি, ‘ভুবনেশ্বরের এই মাঠ ওদের পরিচিত।
কিছুদিন আগেও তারা এখানে খেলে গেছে। ম্যাচের সময় দেখুন, রাত সাড়ে ৯টা—দক্ষিণ এশিয়ায় গত ১০ বছরে আমি এমন সময়ে কোনো ম্যাচ হতে দেখেনি। তারাই সবচেয়ে ভালো জানে এখানকার কন্ডিশন। আর গত ৪৮ ঘণ্টায় যা হয়েছে সেসবও যদি বিবেচনায় নেওয়া হয়, তাহলে আমি বলব তা মোহনবাগানের পক্ষেই কাজ করবে।
যদিও অস্কার নিজেদের পারফরম্যান্সের ক্ষেত্রে এটিকে অজুহাত হিসেবে দাঁড় করাতে চান না কিছুতেই, ‘শেষ পর্যন্ত আমরা এখানে পৌঁছেছি। আগামীকাল সকালে সবাই সতেজ হয়ে ইতিবাচকভাবে দিনটা শুরু করতে চাই।’ মাঠের খেলায়ও চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন তিনি সবুজ মেরুনদের, ‘এখানে আমরা জিততে এসেছি। এই ম্যাচ হেরে গেলে পয়েন্ট টেবিলে মোহনবাগান অনেকখানি এগিয়ে যাবে। সেটা আমরা হতে দিতে চাই না।
তাদের চ্যালেঞ্জ জানাতেই আমরা এখানে এসেছি। আমরা জিতলে বাকি তিনটি ম্যাচে আমাদের সমীকরণটা সহজ হয়ে যাবে।’ এই মুহূর্তে ৬ পয়েন্ট নিয়ে মোহনবাগান টেবিলের শীর্ষে। মাজিয়া ও বসুন্ধরা দুই দলেরই পয়েন্ট সমান ৩ করে।